বুধবার, জানুয়ারী ১৮, ২০১৭

হাকালুকি হাওরের নামকরণের ইতিহাস

“সাগর” শব্দটি থকেে
“হাওর” শব্দের উৎপত্তি বলে ধরে
নেয়া হয়।তবে “হাকালুকি” নামের
উৎপত্তি সর্ম্পকে বিভিন্ন লোক
কাহিনী রয়েছে । জনশ্রুতিমতে বহু
বছর আগে ত্রিপুরার মহারাজা ওমর
মানিক্যের সেনাবাহিনীর ভয়ে
বড়লখোর কুকি দলপতি হাঙ্গর সিং
জঙ্গলপূর্ন ও র্কদমাক্ত এক বিস্তীর্ণ
এলাকায় এমনভাবে লুকি দযে় বা
লুকিয়ে যায় যা কালক্রমে ঐ এলাকার
নাম হয় “হাঙ্গর লুকি” ধীরে ধীরে তা
“হাকালুকিতে” তে র্পযবসতি হয়।
আরেকটি জনশ্রুতি অনুযায়ী প্রায় দুই
হাজার বছর আগে প্রচন্ড এক ভূমকিম্পে
“আকা” নামে এক রাজা ও তাঁর রাজত্ব
মাটির নিচে সর্ম্পূণ তলিয়ে যায়।
কালক্রমে এই তলিয়ে যাওয়া
নিম্নভূমির নাম হয় “আকালুকি” বা
হাকালুকি ।
আরো প্রচলিত যে, এক সময় বড়লেখা
থানার পশ্চিমাংশে “হেংকেল”
নামে একটি উপজাতি বাস করতো।
পরবর্তিতে এই “হেংকেলুকি”
হাকালুকি নাম ধারণ করে। এও
প্রচলিত যে, হাকালুকি হাওররে
কাছাকাছি একসময় বাস করতো কুকি,
নাগা উপজাতিরা। তাদের নিজস্ব
উপজাতীয় ভাষায় এই হাওরের নামকরণ
করা হয় “হাকালুকি” যার র্অথ ‘লুকানো
সম্পদ’।
পূর্ববর্তী সংবাদ : অনেক পুলিশ এখনও
বলে আমি নাকি এখনও পুলিশ হতে
পারিনি
পরবর্তী সংবাদ: সিলেট জেলা
ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মুন্নার
জন্মদিন পালন

সিলেটের ইতিহাস ও সুরমা নদী

সুরমা নদীর কোল ঘেঁষে সিলেট
নগরী, সুনামগঞ্জ জেলা সদর। এ
নদীর তীরেই কানাইঘাট,
বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ,
বিশ্বনাথ, ছাতক, দোয়ারাবাজার,
জামালগঞ্জ ও আজমিরীগঞ্জ
পৌরশহর-উপজেলা। বৃহত্তর
সিলেটের ঐতিহ্য আর ইতিহাসের
বাঁকে বাঁকে ছড়িয়ে থাকা অপরূপা
এ নদীর নাম সুরমা। জনশ্রুতি
অনুযায়ী, রাজা ক্ষেত্রপালের
স্ত্রী সুরম্যা এর নাম থেকেই এ
নদীর নাম সুরমা।
আগে এর নাম ছিলো বড়-বকরো বা
বরবক্র নদী। এই বরবক্রের নিদর্শন
আছে প্রাচীন বাংলা সাহিত্য ও
শাস্ত্রে। তীর্থ চিন্তামণিতে
বরবক্র বা বরাক নদীর বর্ণনা
পাওয়া যায়। প্রাচীন পুরাণে
বর্ণিত শরাবতীকে অনেকেই
সিলেটের সুরমা বলে মনে করেন।
বরবক্র নদীতে স্নান করলে সব পাপ
দূর হয় বলে বিশ্বাস প্রচলিত আছে
হিন্দু সমাজে। বলা হয়ে থাকে,
হযরত শাহজালাল তার বাহিনী
নিয়ে সিলেটের উপকণ্ঠে পৌঁছুলে
সুরমা নদীতে চলাচলকারী সব
নৌকা বন্ধ করে দেন রাজা
গৌড়গোবিন্দ।
সে সময় নিজের জায়নামাজে
চেপে সুরমা পার হন শাহজালাল।
রাজা অমর মাণিক্য (১৫৯৭-১৬১১)
অনন্ত স্বর্গে গমনের আশায় বরবক্র ও
মনু নদীর ‘মহাপবিত্র’ সঙ্গমস্থলে
গিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করেছিলেন
বলে বলা আছে সতের শতকের
শেষভাগে রচিত ত্রিপুরার
রাজাদের ইতিহাস সংবলিত
রাজমালা কাব্যে। হিজরি তৃতীয়
শতকে সুরমা তীরের সিলেট
বন্দরের বর্ণনা দিয়েছেন আরব
পর্যটক সোলায়মান ছয়রাফী।
মরক্কোর পর্যটক ইবনে বতুতা ১৩৪৬
খ্রিস্টাব্দে হযরত শাহজালালের
সঙ্গে মোলাকাতের জন্য নহরে
আজরক দিয়ে সিলেট আসেন।
আরবীতে আজরক অর্থ নীল রং।
আর নহরে আজরক অর্থ নীল রঙের
নদী। এই নীল পানির নদীই আজকের
সুরমা। এক সময় এই নদীই ছিলো
সিলেটের জীবন-জীবিকার প্রধান
উৎস। নদীর দু’পাড়ে গড়ে উঠেছিল
নগর, বন্দর, জনপদ। সড়ক পথে
যোগাযোগ গড়ে ওঠার আগে
সিলেটের সঙ্গে বাংলা ও এর
পার্শ্ববর্তী ভূ-খন্ডের ব্যবসা-
বাণিজ্য হতো সুরমা কলকাতা
থেকে জলপথে ঢাকা এসে
বুড়িগঙ্গা ও মেঘনা পেরিয়ে পড়তে
হতো সুরমায়। ছোট মেঘনা দিয়ে
সুরমা হয়ে সবচেয়ে সোজা ও
সংক্ষিপ্ত পথে দাউদকান্দি থেকে
সিলেট যাওয়া যেতো। কৃষিই ছিল
তখনকার সুরমাপাড়বাসীর প্রধান
জীবিকা।
হস্ত-কারুশিল্পের পাশাপাশি
লৌহ আর জাহাজ নির্মাণ
শিল্পেরও প্রভাবও ছিলো সুরমা
পাড়ে। আরো ছিলো প্রচুর হাতি।
তাই হাতির দাঁতের পাটি পাওয়া
যেতো সুরমা পাড়ে। চুলের মতো
চিকন বেত তৈরি করে পাটি বোনা
ছাড়াও হাতির দাঁত থেকে তৈরি
হতো পাখা, চুড়ি, চিরুনি এবং খড়ম,
লাঠি, দাবা ও পাশা খেলার গুটি।
মুর্তা নামে এক প্রকার জংলী বৃক্ষ
থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে বেত
সংগ্রহ করে বোনা নকশী শীতল
পাটি এবং বাঁশ-বেতের আসবাবও
এই সুরমা পাড়ের ঐহিত্যময় গৌরব।
সুরমা পাড়ের জঙ্গলে জন্মানো
জালিবেত দিয়ে তৈরি হতো খাট,
চেয়ার, টেবিল, শেলফ, বাক্স-
পেটরা, সোফা।
এ নদীতে মাছ ধরা হতো
ঝাকিজাল, উড়াজাল, উথালজাল,
হৈফাজাল, হাটজাল ও
পেলুইনজালে। মোদ্দা কথা,
সুরমাকে কেন্দ্র করেই গড়ে
উঠেছিলো সিলেটের সংস্কৃতি ও
সভ্যতা। বৃহত্তর সিলেটের প্রকৃতি ও
জীবনের সঙ্গে এ নদীর সম্পর্ক
অবিচ্ছেদ্য। বর্তমানের সুরমা
পাড়ে দেখা যাবে, বড়লাট
নর্থব্রুককে অভ্যর্থনা জানাতে
নির্মিত চাঁদনীঘাটের প্রাচীন
সিঁড়ি। নগরীর প্রবেশ মুখে সুরমার
উপরে স্থাপিত আসামের গভর্নর
মাইকেল ক্কিন এর স্মৃতিধন্য
ধনুকাকার স্টিলের ব্রিজটি তো
সিলেটের আইকন হিসেবেই
পরিচিত হয়ে উঠেছে। চাঁদনীঘাট ও
ক্কিন ব্রিজের পাশেই পৃথিম
পাশার বিখ্যাত জমিদার আলী
আমজাদের গড়া ঘড়িঘর সাক্ষী
বইছে দিল্লীর শাহজাদী
জাহানারার চাঁদনিচকের ঘড়িঘর
অনুকরণের। সিলেটে সুরমার উপরে
আরো গড়া হয়েছে শাহজালাল
ব্রিজ, শাহপরান ব্রিজ ও
টুকেরবাজার ব্রীজ। সুনামগঞ্জ শহর
ঘেঁষেও ব্রিজ আছে সুরমার ওপর।
আরো আছে অসামান্য সব গানের
কারিগর হাছন রাজার বাড়ি ও
জাদুঘর। এই সুরমার জন্ম উত্তর-পূর্ব
ভারতের মনিপুর পাহাড়ের মাও
সংসাংয়ে। ভারতীয় অংশে এর
নাম এখনো বরাকই আছে।
সিলেটের কানাইঘাটে আসামের
কাছাড় জেলার অমলসিদের কাছে
বাংলাদেশের বদরপুরে প্রবেশের
পর দু’ভাগ হয়ে গেছে বরাক।
উত্তরের শাখাটি সুরমা আর
দক্ষিণের শাখাটি প্রবাহিত
হয়েছে কুশিয়ারা নামে। বরাক-
সুরমা-কুশিয়ারার সঙ্গমস্থল
পরিচিত ত্রিবেনী নামে।
কিশোরগঞ্জের ভৈরববাজারের
কাছে সুরমা ও কুশিয়ারা পুনরায়
মিলিত হয়ে গঠন করেছে মেঘনা
নদী। অমলসিদের ত্রিবেনীতে
বাংলাদেশে প্রবেশ করেই উত্তরে
বাঁক নেওয়া সুরমা নদী
আকাশমল্লিক পর্যন্ত প্রায় সাড়ে
২৬ কিলোমিটার এলাকায়
সীমান্ত হয়ে বেড় দিয়ে আছে
বাংলাদেশকে। ভারতের
খাসিয়া-জয়ন্তিয়া পাহাড় থেকে
আসা লোভাছড়া কানাইঘাটের
কাছে চারিপাড়ায় পতিত হয়েছে
সুরমায়। এই লোভাছড়া দিয়েই
আসে সুরমার ৬০ শতাংশ পানির
যোগান। এর বাইরে বরাকসহ কিছু
শাখা নদী দিয়ে ৩০ ভাগ পানি
মেশে সুরমায়। অবশিষ্ট ১০ ভাগ
আসে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের
বিভিন্ন ছড়া-খাল ও বৃষ্টির প্রবাহ
থেকে। অমলসিদের ত্রিবেনী
থেকে ছাতক পর্যন্ত সুরমার দৈর্ঘ্য
প্রায় ১৬৪ কিলোমিটার।
ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত ৪০
কিলোমিটার। সুনামগঞ্জ থেকে
দক্ষিণ-পশ্চিমে ১১ কিলোমিটার
দূরে পাইন্দা নামক স্থানে সুরমা
ভাগ হয়ে গেছে দুই শাখায়।
দক্ষিণমুখী শাখাটি চাঁদপুর-দিরাই
হয়ে মারকুলিতে মিলিত হয়েছে
কুশিয়ারার সঙ্গে। এক সময় এই
ধারাটিই ছিলো সুরমার মূল প্রবাহ
পথ। তবে পুরাতন সুরমা নামে
পরিচিত এই ধারা এখন মৃতপ্রায়।
এরও আগে সুরমার এই শাখাটি
দিরাই-চাঁদপুরের ৪ কি.মি. উজানে
সুজানগর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে
প্রবাহিত হয়ে আজমিরীগঞ্জে
কালনী নদীতে পড়ে ।
এই ধারার পরিচিতি এখন মরা
সুরমা। সুরমা ও কুশিয়ারার মিলিত
প্রবাহ কালনী নামে দক্ষিণে
কিছুদূর প্রবাহিত হয়ে নাম
নিয়েছে মেঘনা। দ্বিতীয়
শাখাটি পাইন্দা থেকে ৮
কিলোমিটার এগিয়ে উত্তর-
পশ্চিমে মোড় নিয়ে প্রায় ৯
কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ফের
দক্ষিণ-পশ্চিমে বাঁক নিয়ে
লালপুরে বাইলাই নদীতে পড়েছে।
পরে এই শাখাটি বিভিন্ন নাম
ধারণ করে মেঘনায় মিলিত হয়েছে
দিলালপুরে। অমলসিদের ত্রিবেনী
থেকে দিলালপুরে মেঘনায় পতিত
হওয়া পর্যন্ত সুরমা পাড়ি দিয়েছে
প্রায় ৩৫৫ কিলোমিটার পথ।
মেঘালয় মালভূমির দক্ষিণ থেকে
নেমে আসা বিভিন্ন নদী ও
স্রোতধারা মিলিত হয়েছে সুরমার
ধারায়।

সিলেট-২ আসনে কে হচ্ছেন নৌকার কান্ডারী ?

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আরো ২
বছর বাকি। তবে এরই মধ্যে সরকারী
দল আওয়ামীলীগ আগামী
নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে
দিয়েছে। অক্টোবরে আওয়ামী
লীগের সম্মেলনে সভানেত্রী
পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শনিবার (১৪ জানুয়ারী) প্রথম
ধানমণ্ডিতে নিজের রাজনৈতিক
কার্যালয়ে গিয়ে বলেন, আগামী
নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন ।
তার ঘোষণার পর থেকেই
সারাদেশে আওয়ামীলীগ দলীয়
মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নড়েচড়ে
বসেছেন। ব্যাতিক্রম নয় সিলেট-২
আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ।
প্রকাশ্য না হলেও তারা নীরবে
চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের লবিং।
বরাবরের মতো এবারও সিলেট-২
আসনে কে পাবেন দলীয় টিকেট তা
নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। কে
হবেন সিলেট-২ আসনের নৌকার
কান্ডারী ? দলীয় প্রধান ও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার
হাতে নৌকার দায়িত্ব দেন তা
নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চলছে
গুঞ্জন।
বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ ও
ওসমানীনগর তিন উপজেলা নিয়ে
গঠিত সিলেট-২ আসন। এই আসনকে
প্রধান দুই রাজনৈতিক দলই অত্যন্ত
গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে
থাকে। বিগত জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সাথে
সমঝোতায় এখানে আওয়ামীলীগ
থেকে কেউ প্রার্থী হননি। বরাবরই
এই আসনে আওয়ামীলীগ থেকে
একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন
প্রাপ্তির জন্য লড়াই করেন। আর
এতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পরে
স্থানীয় আওয়ামীলীগ। এবারও এর
ব্যতিক্রম নয়। আগামী নির্বাচনে
এই আসন থেকে লড়তে ইতিমধ্যেই
আওয়ামীলীগের দুই প্রার্থী
রয়েছেন মাঠে। সিলেট জেলা
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক
শফিকুর রহমান চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য
আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিন
উপজেলায় তাদের অনুসারীরা নিজ
নিজ নেতার মনোনয়ন প্রাপ্তির
ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তবে তা যে দলীয় সভানেত্রীর
সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে তা
মানছেন অনেকেই।
২৪ ঘন্টার রাজনীতিবিদ’ হিসেবে
খ্যাত শফিকুর রহমান চৌধুরী।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ
শফিক চৌধুরী । তার অনুসারী
নেতা কর্মীরা মনে করেন ক্লীন
ইমেজের ত্যাগী এই নেতার
মনোনয়ন না পাওয়ার কোন কারণ
নেই।
শফিকুর রহমান চৌধুরী সিলেট
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক হিসেবে দলের জন্য
নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে কাজ করে
যাচ্ছেন। সিলেট-২ আসনে
বিএনপির প্রভাবশালী নেতা
ইলিয়াস আলীকে পরাজিত করে
সাংসদ হওয়া সাবেক সাংসদ
হিসেবেও তিনি ছিলেন সফল। ‘২৪
ঘন্টার রাজনীতিবিদ’ হিসেবে
পরিচিত শফিক চৌধুরীর
জনপ্রিয়তা, দলে অবস্থান এসব
নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। দলের
প্রয়োজনে প্রতিটি
স্থানীয় নির্বাচনে রাত-দিন
পরিশ্রম করে দলের জন্য কাজ করে
গেছেন।
গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী
লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার
প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে সিলেট-২
আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা থেকে
নিজেকে সরিয়ে রাখেন শফিক
চৌধুরী। ওয়ান-ইলেভেনে কারারুদ্ধ
হওয়া এই নেতার দলের জন্য
ত্যাগের কারণেই আছেন তুমুল
আলোচনায়।
আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী
যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের যুগ্ন
সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান
চৌধুরী। বহির্বিশ্বের
বাংলাদেশী রাজনীতিতে খুবই
পরিশ্রমী নেতা। নির্বাচন করার
তাড়না থেকেই গত বেশ কিছুদিন
ধরে তিনি নিয়মিত এলাকার
আসছেন। এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন
মূলক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত
করছেন। এলাকায় তরুন
নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ
ইতিমধ্যেই তার বলয়ে যোগ
দিয়েছে। তিন উপজেলায় নিজস্ব
বলয় ঠিক করতে প্রতিনিয়ত
যোগাযোগ অব্যাহত রেখে চলেছেন
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
এছাড়া ব্রিটেনে অবস্থানরত শেখ
রেহানার স্নেহধন্য হিসেবে তিনি
রয়েছেন পুরো আলোচনায়।একজন
ভালো ও পরিশ্রমী সংগঠক
হিসেবে তার দেশে ও বহির্বিশ্বে
রয়েছে সুনাম। জানা যায়, দল
আন্তপ্রাণ আনোয়ারুজ্জামান
চৌধুরী সর্বশেষ দলীয় সম্মেলনে
দলের কোন পদ পাওয়ার ব্যাপারে
তদবির লবিং করেননি। উদ্দেশ্য
সংসদ নির্বাচনে দলের টিকেট
চাওয়া।
এ বিষয়ে ওসমানীনগর উপজেলা
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক
আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু
সুরমানিউজকে বলেন, দলের একজন
ত্যাগী নেতা হিসেবে সিলেট
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ শফিকুর
রহমান চৌধুরীর জুড়ি নেই। তিনি
নিজ এলাকা, দল ও কর্মী
সমর্থকদের নিয়ে অবিরাম রাতদিন
কাজ করে চলেছেন। তাই তৃণমূল
থেকে শুরু করে এলাকার সবার প্রিয়
এই নেতার হাতেই আমাদের দলীয়
সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা নৌকা প্রতীক তুলে
দিবেন।
ওসমানীনগর উপজেলা
আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ
সম্পাদক আব্দাল মিয়া
সুরমানিউজকে বলেন, বালাগঞ্জ-
ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথবাসীর
আগামী দিনের প্রতিনিধি
হিসেবে জাতীয় সংসদে
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে
আওয়ামীলীগের নৌকার
কান্ডারী করা হবে বলে আমরা
আশাবাদী। তবে তা সম্পুর্ণ দলীয়
প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর
করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি
বলেন, দলীয় সভানেত্রী যার
হাতেই নৌকার দায়িত্ব তুলে
দিবেন আমরা তাঁর হয়ে দলের জন্য
কাজ করে যাব।
যুক্তরাজ্য যুবলীগের সভাপতি ফখরুল
ইসলাম মধু সুরমানিউজকে বলেন,
বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ ও
ওসমানীনগরে আনোয়ারুজ্জামানের
বিকল্প নেই। একমাত্র তিনিই
পারেন এই আসনটি পুনরুদ্ধার করতে।
ইতিমধ্যেই সবাই দেখেছে তার
পক্ষে এলাকায় গণজোয়ার। দেশে
বিদেশে তার হাজার হাজার
নেতাকর্মীর বিশ্বাস আমাদের
দলীয় নেত্রী আগামী নির্বাচনে
পরিশ্রমী এই নেতাকে মুল্যায়ন
করবেন। আর নেত্রী সবসময় তরুন
নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখেছেন।
সিলেট ২ আসনে আগামী
নির্বাচনে আনোয়ারুজ্জামানই
নৌকার কান্ডারী।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ ভারপ্রাপ্ত
সম্পাদক ঝলক পাল সুরমা নিউজকে
বলেন, আমাদের আস্থা ও
বিশ্বাসের জায়গা জননেত্রী শেখ
হাসিনা। তিনি কখনো সিদ্ধান্ত
নিতে ভুল করেননা। নেত্রী ত্যাগী
ও পরিশ্রমী নেতাকেই মুল্যায়ন
করবেন আমাদের বিশ্বাস।
তবে সবকিছুই নির্ভর করছে দলীয়
সভানেত্রীর উপর। তার সিদ্ধান্তই
চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। একাধিকবার
তিনি তার সিদ্ধান্তে চমক
দেখিয়েছেন। এবারও তেমন কিছু
হবেনা তা আগাম বলা যাচ্ছেনা।
সেই চমকের অপেক্ষায় রয়েছেন
সিলেট-২ আসনের তিন উপজেলার
বাসিন্দারা।