সোমবার, জানুয়ারী ২৩, ২০১৭

নৌকা ডুবে মৃত্যুর মুখে ৩২ সিলেটি

লিবিয়ার জোয়ারা
এলাকা থেকে ইউরোপের
উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া
দুটি বোট বুধবার থেকে
নিখোঁজ আছে। বোট দুটি
ডুবে গিয়ে প্রায় ৭২ জন
বাংলাদেশীসহ ২
শতাধিক মানুষের
প্রাণহানীর আশঙ্কা
করা হচ্ছে। ঐ বোট
দুটিতে বাংলাদেশীদের
মধ্যে অধিকাংশ যাত্রী
সিলেটের বিভিন্ন
এলাকার। তারা
কয়েকদিন আগে বডি
কন্ট্রাক্টে লিবিয়া এসে
ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা
করছিল বলে জানা
গেছে। বেশ ঠান্ডা ও
সাগর উত্তাল থাকা
সত্ত্বেও জোয়ারা
এলাকা থেকে ৫টি ছোট
ছোট বোট প্রায় ৭’শ
যাত্রী নিয়ে গত বুধবার
রাতে ছেড়ে যায়।
বোটগুলোর মধ্যে তিনটি
বোট লিবিয়ার
কোষ্টগার্ড আটক করলেও,
দুটি বোট প্রায় ২’শ
যাত্রী নিয়ে কিছু দূরে
যাওয়ার পর সাগরের
উত্তাল ডেউয়ের মাঝে
পড়ে। তার মধ্যে একটি
বোট থেকে উপকূলে জানানো হয় যে,
কোনভাবেই বোটের নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব
হচ্ছে না। এর কিছুক্ষণ পর থেকেই বোট দুটির
সাথে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
সকাল হতে না হতেই জোয়ারা এলাকায়
বোট ডুবির খবরটি চাউর হয়ে যায়। জোয়ারা
থেকে কয়েকজন বাংলাদেশী শ্রমিক
জানান, ঐ বোটে ১২০ যাত্রীর মধ্যে ৭২ জন
বাংলাদেশী আছ এবং তাদের বেশিরভাগই
সিলেট এলাকার।
বুধবার রাতে বোট ছাড়ার আগে সিলেটের
কয়েকজন লিবিয়ায় তাদের সহকর্মীদের
কাছে ফোন করে দোয়া চেয়ে বিদায় নিয়ে
জানিয়েছিল, তারা যে গোডাউনে আছে
সেখানে ৭২ জনই বাংলাদেশী।
জানিয়েছিল, তাদের বোট কিছুক্ষণের
মধ্যে ইউরোপের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
এরপর থেকে তাদের সাথে মোবাইল
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। তবে তাদের
কপালে কি জুটেছে তা পরিস্কার নয়। একটি
সুত্র জানিয়েছে, ঐ বোটে বাংলাদেশী ৭২
জন যাত্রীর মধ্যে প্রায় ৫০ জনই কয়েকদিন
আগে বডি কন্ট্রাক্টে লিবিয়ায় আসে। ঐ
যাত্রীরা লিবিয়া মিত্তিকা
বিমানবন্দরে এসে, চুক্তি করে আসা
দালালদের মাধ্যমে সরাসরি জোয়ারা
পৌঁছায়। সেখানে দালালদের দেখানো
গোডাউনে কয়েকদিন অপেক্ষার পর গত
বুধবার ইউরোপের উদ্দেশ্যে বোটে যাত্রা
শুরু করে।
এদিকে অন্য এক খবরে জানা গেছে,
লিবিয়ার উপকূল থেকে ২৫ শরণার্থীর
মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ইতালীর কোস্টগার্ড।
ঐ সব যাত্রী গত বুধবারই ইউরোপের
উদ্দেশ্যে ছোট ছোট নৌকায় ইতালী পাড়ি
দেয়ার চেষ্টা করছিল। ঐ লাশগুলোর মধ্যে
কোন বাংলাদেশীর লাশ আছে কি না তা
এখনও জানা যায়নি। লিবিয়ার
কোষ্টগার্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে,
বুধবার রাতে পাঁচটি বোট জোয়ারা এলাকা
থেকে ছেড়ে যাচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে
তারা অভিযান চালিয়ে ৩টি বোটসহ প্রায়
৩’শ যাত্রীকে আটক করে। যাদের আটক করা
হয়েছে তাদের মধ্যে ১৩ জন মহিলাসহ বেশ
কয়েকটি শিশু আছে। তাদের লিবিয়ার
কারাগারে রাখা হয়েছে। এছাড়া ঐ দিন
২টি বোট সাগরের উত্তাল ডেউয়ের মাঝে
হারিয়ে গেছে বলেও আশংকা তাদের।

ফেঞ্চুগঞ্জে নতুন আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র: খুব শীঘ্রই উৎপাদন শুরু

 ফেঞ্চুগঞ্জের
কুশিয়ারা নদীর তীরে বেসরকারী
উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সিলেটের নতুন
আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র খুব শীঘ্রই
উৎপাদনে যাচ্ছে। নতুন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র
থেকে জাতীয় গীডে যুক্ত হবে আরো
১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কুশিয়ারা
পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড নামের
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়
অবকাঠামো নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে
সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে প্রয়োজনীয়
যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ স্থাপনের ৯০ ভাগ
কাজ শেষ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ‘কম্বাইন্ড
সাইকেল’ প্রযুক্তির গ্যাস ভিত্তিক এই
বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ব্যয় হচ্ছে প্রায়
১৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার,
বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমাণ
প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ
কেন্দ্রটির কাজ শুরু থেকে দিনরাত
দেশী-বিদেশী কয়েকশ’ লোক
নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে কুশিয়ারা
পাওয়ার কোম্পানীর এই কম্বাইন্ড
সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য
২০১৩ সালের ২০ মার্চ বাংলাদেশ
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জালালাবাদ
গ্যাসের সাথে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি
স্বাক্ষর হয়। পরবর্তীতে প্রযুক্তিগত
সহায়তার জন্য কুশিয়ারা পাওয়ার
কোম্পানী লিমিটেড যুক্তরাষ্ট্র
ভিত্তিক জেনারেল ইলেকট্রিক
কোম্পানীর সাথে আরেকটি চুক্তি
স্বাক্ষর করে ২০১৫ সালের ২০ মার্চ। এর
প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স
ও চীনের একাধিক প্রতিষ্ঠান এই বিদ্যুৎ
কেন্দ্র স্থাপনে যান্ত্রিক ও
প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানে সম্মত হয়।
কুশিয়ারা পাওয়ার কোম্পানী
লিমিটেডের পক্ষে এ চুক্তিগুলো
স্বাক্ষর করেন কোম্পানীর
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা
চৌধুরী।
দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা
মোকাবেলায় বেসরকারী খাতের
বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্তের
প্রেক্ষিতে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার
কুশিয়ারা নদী তীরে এ বিদ্যুৎ
কেন্দ্রটি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। এর
প্রেক্ষিতে ফেঞ্চুগঞ্জে সরকারী
ভাবে প্রতিষ্ঠিত ৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
উৎপাদন কেন্দ্রের পাশেই মাইজগাঁও
ইউনিয়নের মইনপুর এলাকায় ১০ একর ভূমি
ক্রয় করা হয়। বর্তমানে এই ১০ একর
ভূমির উপর ‘কুশিয়ারা পাওয়ার
কোম্পানী লিমিটেড-এর ১৭০
মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ
কেন্দ্র স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ
পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন
সংশ্লিষ্টরা। ইপিসি ঠিকাদারী
প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্টাকচার
ডেভেলপমেন্ট এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের
অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করছে।
কুশিয়ারা পাওয়ার কোম্পানী
লিমিটেড সূত্র জানায়, চলতি বছরের
প্রথম দিকে প্রাথমিকভাবে ১শ’ ১০
মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে
প্রতিষ্ঠানটি। এরপর পরবর্তী ৬ মাসের
মধ্যে আরো ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
উৎপাদন হবে এখান থেকে। উৎপাদিত
বিদ্যুতের পুরোটাই যাবে জাতীয়
গ্রীডে। গত ২১ জানুয়ারী বিদ্যুৎ
কেন্দ্রের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন
করেন মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী
দেশে সে সময় বিদ্যুতের মোট সর্বোচ্চ
চাহিদা প্রায় ৮ হাজার ৭শ’ ৭১
মেগাওয়াট। ইতোমধ্যে মোট এই
চাহিদার পুরোটাই জাতীয় গ্রীডে
সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান
সরকার। ভারত থেকে আমদানী করা ৫শ’
মেগাওয়াট ছাড়া পুরো বিদ্যুৎ-ই
সরববরাহ হচ্ছে সরকারী ও বেসরকারী
বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো থেকে। বর্তমানে
আমদানীসহ দেশের বিদ্যুৎ
কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১২
হাজার মেগাওয়াট। ২০১৩ সালের
নভেম্বর মাসে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন
১০ হাজার মেগাওয়াটে পৌছেছে।

হাটুভাঙ্গা আলিম মাদরাসার বার্ষিক ওয়াজ ২৭ জানুয়ারি

হাটুভাঙ্গা আলিম মাদরাসার বার্ষিক
ওয়াজ ২৭ জানুয়ারি
________________________
ফেঞ্চুগঞ্জ হাটুভাঙ্গা আলিম মাদরাসার
বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল ২৭ জানুয়ারি
শুক্রবার মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে বয়ান
পেশ করবেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল-
ইসলাহ সভাপতি আল্লামা হুছামুদ্দীন
চৌধুরী, ফুলতলী। বিশেষ অতিথি হিসাবে
বয়ান পেশ করবেন মৌলভীবাজার টাউন
কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল
কাইয়ুম সিদ্দিকী, ফেঞ্চুগঞ্জ
মোহাম্মদীয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী
অধ্যাপক মাওলানা বশির উদ্দীন, মাওলানা
কাউছার আহমদ জিহাদী, বি. বাড়িয়া,
মাওলানা নাছির উদ্দিন আখন্দ।
মাহফিলে মাদরাসার সাবেক ও বর্তমান
ছাত্র সহ সর্বস্তরের মুসলমান ভাইদের
উপস্তিত থাকার আহবান জানিয়েছেন
মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বাহা উদ্দীন।