শুক্রবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬

ফেঞ্চুগঞ্জে নদীতীরে জেগে উঠা ভেলকুনা চর এখন সংঘবদ্ধ চক্রের দখলে

 ফেঞ্চুগঞ্জে
কুশিয়ারা নদীতীরে জেগে উঠা
ভেলকুনা চর এখন সংঘবদ্ধ চক্রের দখলে।
প্রভাবশালীরা অবাধে চর থেকে বালু
উত্তোলন করছেন।
ড্রেজার ও সনাতন পদ্ধতিতে বালু
তোলার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে
আশপাশের জমি ও নদী তীর। অনেক
স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের।
ফলে বর্ষা মৌসুমে নদী তীর ভাঙ্গনের
আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয়
ভেলকুনা চর থেকে বালু উত্তোলনের পর
ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে নিয়ে
যাওয়া হচ্ছে। দিনের বেলায় কম দেখা
গেলেও মূলত মধ্য রাত থেকে ভোর
পর্যন্তই চলে বালু উত্তোলনের কাজ।
পরে তা বিক্রি করা নৌকা প্রতি ৮০০
থেকে ১০০০ টাকা দরে বিক্রি করা
হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা
জানান, প্রভাবশালী মেদু মিয়া, ফজলু
মিয়া, জাহেদুল ইসলাম ও আজাদ
মিয়াসহ কয়েকজনের যোগসাজশে চরের
বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। কেউ ভয়ে
তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন না।
এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা
নির্বাহী অফিসার হুরে জান্নাত
বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ব্যবস্থা
নিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসি
ল্যান্ডকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ফেঞ্চুগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে নিহত-১,আহত-২

ফেঞ্চুগঞ্জ
প্রতিনিধি: :ফেঞ্চুগঞ্জের ছত্রিশ
গ্রামে বাড়িতে রাজমিস্ত্রি কাজ
করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারের সাথে
রড লেগে গেলে তাতে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হন
৩জন।
হৈ চৈ শুনে আশেপাশের লোকজন দ্রুত
ছুটে চলে আসেন এবং আহতদের
স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক
১জনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত
২জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার
নির্দেশ দেন।আহতদের উক্ত
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নিহত ব্যক্তি হলেন,ছত্রিশ গ্রামের
ফজিলক মিয়ার ছেলে কওছর আহমদ
(২২)।
আহত ২জন হলেন,ছত্রিশ গ্রামের
মখলেছ মিয়ার ছেলে খলিল মিয়া
(১৮)।আরেকজন হলেন,একই গ্রামের
নাচ্চু মিয়ার ছেলে ছাদিক মিয়া
(১৯)।
নিহতের বাবা ও মা ছেলে হারানোর
শোকে আত্নহারা হয়ে রয়েছেন।
নিহতের বাবা ফজিলক মিয়া
জানান,আমার ছেলের কপালে হয়তো
এভাবে মৃত্যু লেখা ছিল।
বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে
অভিযোগের প্রশ্নে তিনি
বলেন,বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে
আমার কোনো অভিযোগ নেই।বাড়ির
মালিক নিজের সন্তানের মত আমার
ছেলেকে ভালবাসতেন। প্রাপ্ত
মজুরীর বেশী টাকা আমার ছেলেকে
দিতেন।
নিহত ব্যক্তিকে আজ বাদ মাগরিব
ছত্রিশ ঈদগাহ মহল্লায় জানাযার
নামাজ শেষে দাফন করা হয়।

ফেঞ্চুগঞ্জের ফরিদপুরে তালামীযের কমিটি গঠনঃ

ফেঞ্চুগঞ্জের ফরিদপুরে তালামীযের কমিটি গঠনঃ

________________________
৩০ ডিসেম্বরঃ বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া ফেঞ্চুগঞ্জ ২ নং মাইজগাও ইউনিয়ন শাখার আওতাধীন পশ্চিম ফরিদপুর আঞ্চলিক শাখার কাউন্সিল অধিবেশন শুক্রবার দুপুরে পশ্চিম ফরিদপুর জামে মসজিদে অনুষ্টিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সহ-প্রচার সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম কুদ্দুছ, প্রধান নির্বাচক হিসাবে উপস্তিত ছিলেন মাইজগাও ইউনিয়ন সভাপতি হাবিবুর রহমান মারুফ, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ আহবায়ক হাবিলুর রহমান জুয়েল, মাইজগাও ইউনিয়ন সহ-সভাপতি কামরান আহমদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক ইমন।
এর আগে শাখা সভাপতি আবু তাহেফ শিবলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শরিফ আহমদের উপস্তাপনায় অধিবেশন শুরু হয়।
কাউন্সিলে আবু তাহেফ শিবলুকে পুন: সভাপতি জাবেল আহমদ, শরীফ আহমদ কে সিনিয়র সহ-সভাপতি  লিমন আহমদকে সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুর হোসেন কে সাংগঠনিক সম্পাদক ওলিউর রহমান শেফুল কে প্রচার সম্পাদক রায়হান আহমদ কে অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

ফেঞ্চুগঞ্জ পুর্ব কর্মধায় তালামীযের শপথ গ্রহন সম্পন্নঃ

ফেঞ্চুগঞ্জ পুর্ব কর্মধায় তালামীযের শপথ গ্রহন সম্পন্নঃ
৩০ ডিসেম্বরঃ বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া ২ নং মাইজগাও ইউনিয়ন শাখার আওতাধীন পুর্ব কর্মধা আঞ্চলিক শাখার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুক্তবার বিকেল ৪ ঘটিকায় শাখার অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুরানবাজার আল-ইসলাহ সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা তালামীযের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান উদ্দীন, সহ-প্রচার সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম কুদ্দুছ, ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ সদস্য সচিব হাবিলুর রহমান জুয়েল, মাইজগাও ইউনিয়ন সভাপতি হাবিবুর রহমান মারুফ, সহ সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক ইমন, অর্থ সম্পাদক আবু তাহেফ শিবলু।
অনুষ্ঠানে শাখা সভাপতি ছাব্বির আহমদ ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমদ।
অনুষ্ঠানে শাখার সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।

ইজতেমায় ১০ লক্ষাধিক মানুষের জুমআর নামাজ আদায়

 সিলেটের দক্ষিণ
সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও
ইউনিয়নের সিলেট-সুনামগঞ্জ
বাইপাস সড়ক সংলগ্ন লতিপুর-
খিদিরপুর এলাকার মাঠে কয়েক
লাখ মুসলিম জনতা জুমআর নামাজ
আদায় করেছেন। এসময় মুসল্লিদের
‘আল্লাহু আকবার’ ‘আল্লাহুম্মা
আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত ছিল
গোটা এলাকা। লাখ লাখ জনতা
ক্রন্দনে নত মস্তকে মহান আল্লাহ
রাব্বুল আলামিনের দরবারে অতীত
জীবনের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা
প্রার্থনা করেন। নিজের জন্য,
নিজের পরিবারের জন্য এবং দেশ ও
জাতির মঙ্গল কামনায় ইজতেমা
ময়দানে নামাজ শেষে দোয়া
করেন মুসল্লিরা।
শুক্রবার সকাল থেকেই হাজার
হাজার মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে
এসে জড়ো হতে থাকেন। জিকির-
আসকারে মুখরিত হয়ে ওঠে
ইজতেমা ময়দান। একপর্যায়ে
ইজতেমা ময়দান রূপ নেয় জনসমুদ্রে।
ইজতেমা ময়দানে ওয়াজ-নসিহতও
চলে।
এদিকে জুম’আর নামাজকে ঘিরে
ইজতেমা ময়দানে নেওয়া হয় কঠোর
নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বাড়ছে সব ধরনের গ্যাসের দাম

নতুন বছরের শুরুতেই দুঃসংবাদ আসছে
দেশবাসীর জন্য। যৌক্তিকতাকে
বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বাড়ছে সব
ধরনের গ্যাসের দাম।
এ নিয়ে
বিইআরসি’র প্রস্তুতিও প্রায় শেষ।
এখন কেবল ঘোষণার অপেক্ষা।
বিইআরসি বলছে, গ্যাস খাতের উন্নয়ন
ও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন
সমন্বয়ের জন্য দাম বাড়ানো হচ্ছে।
আর বিশ্লেষকরা বিষয়টি দেখছেন,
সরকারের ব্যবসায়িক মনোভাব
হিসেবে।
আগস্টের গণশুনানিতে গ্যাস উৎপাদন
ও বিতরণকারী সরকারি
কোম্পানিগুলো গড়ে ৯৪ শতাংশ দাম
বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। যদিও দাম
বাড়ানোর যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে
পারেনি একটি কোম্পানিও। তারপরও
দাম বাড়ছে।
অবশ্য দাম কতোটা বাড়ছে তা
জানাতে রাজি হননি বিইআরসি’র
কর্মকর্তা। তবে সূত্র বলছে,
বাসাবাড়িতে ২ চুলার দাম সাড়ে ৬শ’
থেকে বেড়ে সাড়ে ৮শ’, আর এক চুলার
নতুন দাম হতে পারে সাড়ে ৬শ’ টাকা।
আর রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস বা
সিএনজি’র দাম হতে পারে প্রতি
ইউনিট ৪৫ টাকা। বাড়বে বিদ্যুৎ
উৎপাদন ও শিল্প কারখানার গ্যাসের
দামও।