শনিবার, ফেব্রুয়ারী ১১, ২০১৭

ফেঞ্চুগঞ্জ হাটুভাঙ্গা তালামীযের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত


বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া ফেঞ্চুগঞ্জ হাটুভাঙ্গা আঞ্চলিক শাখার শপথ পরবর্তী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুক্রবার দুপুর ২ টায় অনুষ্ঠিত  হয়। কর্মশালায় প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্তিত ছিলেন মাইজগাও ইউনিয়ন আল ইসলাহ সভাপতি বদরুল ইসলাম বেলাল, প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা তালামীযের সভাপতি সাইফুর রহমান সজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমদ, সহ- প্রচার সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম কুদ্দুছ, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ সদস্য সচিব হাবিলুর রহমান জুয়েল, মাইজগাও ইউনিয়ন সভাপতি হাবিবুর রহমান মারুফ, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক ইমন, সহ- প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান, অর্থ সম্পাদক আবু তাহেফ শিবলু, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জাহির আহমদ, সহ- প্রশিক্ষণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন।

পরিবহন ধর্মঘটে অচল সিলেটের ৩ উপজেলা, দুর্ভোগে হাজারও মানুষ


অটোরিকশা শ্রমিকদের ডাকা
অনির্দিষ্টককালের পরিবহন ধর্মঘটে অচল
হয়ে পড়েছে সিলেটের ৩ উপজেলা।
ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব উপজেলার
হাজারও যাত্রী।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (১০
ফেব্রুয়ারি) গোলাপগঞ্জ পৌরশহরের
স্থানীয় টিকরবাড়ি এলাকাবাসী ও
অটোরিকশা শ্রমিকদের মধ্যকার
সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার থেকে
অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
দেয় গোলাপগঞ্জ সিএনজি অটোরিকশা
শ্রমিক ইউনিয়ন।
ধর্মঘট আহ্বানের পর গোলাপগঞ্জ
সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের
সভাপতি মাখন মিয়া জানান,
গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে পরিবহন
শ্রমিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও
সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুরের
প্রতিবাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য এ
পরিবহন ধর্মঘট ডাক দেয়া হয়েছে।
শনিবার থেকে গোলাপগঞ্জ,
বিয়ানীবাজার ও জকিগঞ্জে সব ধরণের
যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
ধর্মঘটের ফলে শনিবার সকাল থেকে
সিলেট-জকিগঞ্জ, সিলেট-বিয়ানীবাজার
রুটে বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে। ফলে
ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সব রুটের
হাজারও যাত্রী।
জানা গেছে, সংঘর্ষের বিষয়টি
সমাধানের জন্য গোলাপগঞ্জ বাজার
বণিক সমিতির সভাপতি আজিজুর রহমান
চৌধুরীসহ এলাকার মুরব্বীরা পৃথক বৈঠক
করলেও কোনো সমাধানে পৌঁছতে
পারেননি।
এদিকে, ধর্মঘট চলাকালে শনিবার দুপুর
১২টার দিকে গোলাপগঞ্জের চৌমোহনায়
এলাকাবাসী ও সিএনজি চালকদের মধ্যে
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
তবে কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া
যায়নি।

ফেঞ্চুগঞ্জে বেড়ে চলেছে শিশুশ্রম: বন্ধে নেই কার্যকর কোন পদক্ষেপ

 সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে
সময়ের সাথে বেড়েই চলছে শিশুশ্রম।
যে বয়সে শিশুরা পাঠশালায় যাওয়ার
কথা, যে বয়সে তাদের খেলার কথা,
ঠিক সে বয়সে তারা জীবনের ঝুঁকি
নিয়ে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। এসব
শিশুশ্রমের কারণে শিক্ষা থেকে
বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। শিশুরা এই অল্প
বয়সে অতিরিক্ত শ্রম দেওয়ায় মানসিক
ও শারীরিক ভাবে বিরাট ক্ষতিগ্রস্ত
হচ্ছে। ফলে তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ
অন্ধকারে পরিণত হচ্ছে। বাংলাদেশে
শিশুশ্রম বন্ধ করার জন্য সরকারি
বেসরকারি বহু সংস্থা কাজ করলেও
তার কোন কার্যকর প্রভাব ফেঞ্চুগঞ্জে
পড়েনি। নেই কোন আইনগত পদক্ষেপ।
ফেঞ্চুগঞ্জের উপজেলার এশিয়া
বেকারি, কুশিয়ারা বেকারি রয়েলফুড,
বিভিন্ন চায়ের দোকান, হোটেল, লেদ
মিশেনের কারখানা, ওয়ার্কশপ,
বাসাবাড়ির কাজে নিয়োজিত রয়েছে
প্রায় ৫হাজার শিশু। শিশু শ্রমিকদের
অল্প পারিশ্রমিক দিয়ে বেশি কাজ
করানো সম্ভব বলে অনেকেই শিশুদের
দিয়ে ভারী কাজ করিয়ে ফেলেন।
শনিবার (১১) ফেব্রুয়ারি সকালে
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় শিশু
শ্রমিকদের কষ্টকর দৃশ্য। শিশু শ্রমিকরা
তাদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে
পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি
ফুটানোর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঝুঁকিপূর্ণ
কাজ করছে। অনেকেই এসব কাজ করতে
গিয়ে পঙ্গুত্ববরণ করছে। এ বিষয়ে কথা
বলতে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী
অফিসার হুরে জান্নাতের মুঠোফোনে
একাধিকবার কল দিলে তিনি কল
ধরেননি।