বুধবার, জানুয়ারী ১১, ২০১৭

ফুলতলী (র.) ছিলেন তরুণদের পথ প্রদর্শকঃ

আবু তায়েফ শিবলু:
উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন,
যুগের শ্রেষ্ঠ ওলিয়ে কামিল শামসুল
উলামা আল্লামা ছাহেব কিবলাহ
ফুলতলী (র.) ছিলেন দ্বীনের একজন
খাদিম। যিতদিন পৃথিবীতে ছিলেন
ততদিন তিনি দ্বীনের খেদমতে
নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন।
তার ছেলেবেলা থেকে শুরু করে শেষ
বয়সে এসেও দ্বীনের খেদমতে তিনি
অক্লান্ত পরিশ্রম করে গিয়েছিলেন।
সেই ধারাবাহিকতায় আজোও তার
উত্তরসুরিরা বাংলার জমিনে
ইসলামের প্রচার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ
ভুমিকা পালন করে আসছেন।
ফুলতলী (র.) বিশেষকরে তরুণদের নিয়ে
ভাবতেন। তিনি তরুণদের সঠিক
ইসলামী শিক্ষা ও শুদ্ধ কোরআন
চর্চার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন
দারুল কিরাত মাজিদিয়া ফুলতলী
ট্রাস্ট। এর ফলে প্রতি বছর রমজান
মাসে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সহ সকল
প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা ধর্মীয়
শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে ।
এছাড়াও তিনি এগুলোর পাশাপাশি
তরুণ ছাত্রদের ইসলামের সঠিক পথ ও
মত অনুস্বরন করে ছাত্রজীবনকে
সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার লক্ষে
১৯৮০ সালের ১৮ ই ফেব্রুয়ারি
প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ
আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া
নামে একটি ছাত্র সংগঠন। এই
সংগঠনটি ছাত্রদের বিশ্বনবী হযরত
মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শ অনুস্বরন
করতে সাহায্য করে। যার ফলে
ছাত্ররা ইসলামের সঠিক পথ ও মত
খুজে পায়।
আল্লামা ফুলতলী (র.) এর এই অবদানের
ফলে সমস্ত বাংলাদেশ সহ বিশ্বের
বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী প্রবাসী
ছাত্ররা বিভিন্ন ইসলামী
কমিউনিটির মাধ্যমে দিন দিন
ইসলামী খেদমতের প্রসার বৃদ্ধি
করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশী
বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি,
মাদরাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা তাদের
কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে
বিভিন্ন সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও
আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ইসলামী
কমিউনিটিকে দৃড়তার সাথে তুলে
ধরছেন। এগুলো আল্লামা ফুলতলী (র.)
অবদানের ফলেই সম্বব হচ্ছে।
আল্লামা ফুলতলী (র.) তরুণ ছাত্রদের
মেধাবিকাশে ব্যাপক ভুমিকা পালন
করেছেন। যার ফলে আমরা দেখতে
পাই বিভিন্ন অঞ্চলে তরুণ ছাত্ররা
বিভিন্ন যুব সংঘ সৃষ্টি করে ইসলামী
কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
ফুলতলী ছাহেব কিবলার অনেক
গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সূদুরপ্রসারী অবদান
রয়েছে। এজন্য তাকে তরুণদের পথ
প্রদর্শক বলা হয়।
লেখক, তালামীয নেতা।

সিলেটে ইউনিয়ন পরিষদে ৪৮ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি


সিলেট জেলা প্রশাসনের অধীন
ইউনিয়ন পরিষদগুলোয় নিয়োগ
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি-২
অধিশাখার স্মারক নম্বর অনুযায়ী
‘হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার
অপারেটর’ পদে ৪৮ জনকে এই
নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রার্থীদের
বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিক এবং
সিলেট জেলার স্থায়ী বাসিন্দা
হতে হবে।
যোগ্যতা
যেকোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে
বাণিজ্য বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিক
পরীক্ষায় কমপক্ষে দ্বিতীয়
বিভাগে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা
আবেদন করতে পারবেন।
প্রার্থীদের কম্পিউটার
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে।
পাশাপাশি কম্পিউটারে টাইপের
ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজিতে
প্রতি মিনিটে ন্যূনতম ২০টি শব্দ
টাইপ করার মতো গতি থাকতে
হবে।
বয়স
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুযায়ী
সাধারণ প্রার্থীদের বয়স হতে হবে
১৮ থেকে ৩০ বছর। এ ছাড়া
মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের
ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর
পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।
বেতন
জাতীয় বেতন ক্রম-২০১৫ অনুযায়ী
নিয়োগ প্রাপ্তদের বেতন হবে
প্রতি মাসে নয় হাজার ৩০০ থেকে
২২ হাজার ৪৯০ টাকা পর্যন্ত।
আবেদন প্রক্রিয়া
সরকার নির্ধারিত ফরমে আবেদন
করতে হবে। নির্ধারিত ফরমটি
পাওয়া যাবে সিলেট জেলার
ওয়েবসাইট (www.sylhet.gov.bd)।
যেকোনো তফসিলি ব্যাংক থেকে
‘জেলা প্রশাসক, সিলেট’-এর
অনুকূলে ৫০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট
বা পে-অর্ডার করে তা
আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে
হবে। এ ছাড়া আবেদন করার
ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত
নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
প্রার্থীদের আগামী ১৫
ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ পর্যন্ত অফিস
চলাকালীন ডাকযোগে অথবা
সরাসরি সিলেট জেলা প্রশাসকের
কার্যালয়ের ই-সেবা কেন্দ্রে
আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।
বিস্তারিত দেখুন দৈনিক যুগান্তর
পত্রিকায় ৫ জানুয়ারি, ২০১৭
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে :

স্বপ্নের চারলেন সড়কের কাজ শুরু এ বছরেই : পর্যটন ও অর্থনীতি দু’টোই বদলে যাবে সিলেটের

স্বপ্নের চারলেন সড়কের কাজ
শুরু এ সিলেটবাসীর
স্বপ্নের চারলেন সড়ক নির্মাণ
কাজ শুরু হচ্ছে এ বছরেই। চীন
সরকারের অর্থায়নে হচ্ছে সিলেট-
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেন
প্রকল্পের কাজ। নির্মাণ
প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত বছরের
অক্টোবরে ‘ফ্রেমওয়ার্ক’ চুক্তি
স্বাক্ষর করেছে সরকারের সড়ক
পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
বিভিন্ন সময়ে অনিশ্চয়তার মধ্য
থাকা ঢাকা-সিলেট চারলেন
নিয়ে গত বছর (৪ ডিসেম্বর) জাতীয়
সংসদে সিলেট-২ আসনের সংসদ
সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া
জানতে চান, সিলেট-ঢাকা সড়ক
চারলেন কবে নাগাদ কাজ শুরু
হবে? জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল
কাদের বলেন, সংবাদপত্রে কি
লিখলো না লিখলো এটা দেখার
বিষয় নয়। আগামী জুন মাসে কাজ
শুরু হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।
এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তিন
ঘণ্টারও কম সময়ে ঢাকা থেকে
সিলেটে যাতায়াত করা যাবে।
চার লেনের পাশাপাশি দুটি
আলাদা সার্ভিস লেন থাকবে,
যেখানে ধীরে চলা গাড়ি চলাচল
করবে।
জানা যায়, এ প্রকল্পে সম্ভাব্য ব্যয়
ধরা হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি
টাকা। চীন দ্রুতগতিতে কাজটি
করবে। ২০১৮ সালের শেষ দিকে
অথবা ২০১৯ সালের শুরুর দিকে
সড়কটি চালু হবে বলে আশা করা
যায়।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী
মাহবুব আলম জানান, সম্ভাব্যতা
যাচাই এবং নকশা তৈরি শেষ
হয়েছে অনেক আগেই।চীনা
কোম্পানির সাথে চুক্তি সাক্ষর
হয়ে যাওয়ায় কাজ শুরু হওয়া শুধু
সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সওজের ঢাকা-সিলেট চার লেন
প্রকল্প সূত্র জানায়, ঢাকার কাঁচপুর
থেকে সিলেট পর্যন্ত ২২০
কিলোমিটার সড়ক দুই লেন থেকে
চারলেনে উন্নীত করা হবে। এই
চারলেনের দুইপাশে আলাদা
সার্ভিস লেন থাকবে। যেখানে
‘স্লোমুভিং’ যানবাহন চলাচল
করবে। চার লেনের সম্ভাব্য ব্যয়
ধরা হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি
টাকা। চীন এ অর্থ ঋণ হিসেবে
দিচ্ছে বাংলাদেশকে।
২২০ কিলোমিটার এই সড়কে চার
লেন প্রকল্পের মধ্যে ছোট
আকারের ৬০টি সেতু, চারটি
ফ্লাইওভার ও ২৭টি বক্স কালভার্ট
নির্মাণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি
অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মধ্যে ঢাকা-
সিলেট চারলেন করতে হবে। সে
কারণে এডিবির পরিবর্তে এ
মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার
কাজ করবে চীন। চীন ২০১৮ সালের
চারলেন করে দিতে পারবে বলে
জানিয়েছে।
প্রকল্পের একটি সূত্র জানিয়েছে,
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেন
কাজে কিলোমিটার প্রতি ব্যয়
হবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। যা
ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের প্রায়
৩ গুণ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন
প্রকল্পের আড়াই গুণেরও বেশি।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেনে
উন্নীত করার দাবি বেশ পুরোনো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার
নির্বাচনী অঙ্গীকারে এটা
বলেছিলেন। তবে কাজটি শুরু হতে
দেরি হয় অর্থায়ন নিয়ে
অনিশ্চয়তার কারণে। এডিবি না
চীন সরকার এর অর্থায়ন করবে এ
নিয়ে কয়েক দফা সরকারের
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ
(ইআরডি) কয়েক দফা চিঠি
চালাচালি করে। শুরুর দিকে চীন
আগ্রহ দেখালেও ইআরডি তা
প্রত্যাখ্যান করেছিলো। শেষে
চীনকে অর্থায়নের জন্য অনুরোধ
করেন তারা। শেষ পযন্ত চীন
সরকারই জি টু জি ভিত্তিতে এ
কাজ করতে রাজি হয়।
উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদ
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এখন
শুরু হলে মাত্র ৩ বছর পরই চার লেন
হয়ে যাবে মহাসড়কটি। তখন পর্যটন
ও অর্থনীতি দু’টোই বদলে যাবে
সিলেটের। বাড়বে জিডিপিও।

ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মাদিয়া ফাযিল মাদ্রাসার দাখিল ব্যাচ-২০০৩ এর পূণর্মিলণী অনুষ্টিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ১০/০১/১৭ইং
মঙ্গলবার ঐতিহ্যবাহী ফেঞ্চুগঞ্জ
মোহাম্মাদিয়া ফাযিল মাদ্রাসার দাখিল
ব্যাচ-২০০৩ এর উদ্যোগে এক পূণর্মিলণী
অনুষ্ঠানে
র আয়োজন করা হয়।
হাফিজ আবু সাঈদ সেলিম এর সভাপতিত্বে
ও সৈয়দ মওদুদ আহমদ আদিল-এর উপস্থাপনায়
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন
ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মাদিয়া ফাযিল
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ ফরিদ উদ্দিন
আতহার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উক্ত
প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ মাওঃ আব্দুল
ওয়াহাব, সহকারী অধ্যাপক মাওঃ বশীর
উদ্দিন, মাওঃ মোঃ শামসুদদোহা খান,
মাওঃ আব্দুর রাজ্জাক, সহকারী শিক্ষক
মাওঃ মাহবুব আহমদ খান, ক্বারী সৈয়দ
সুলাইমান আহমদ, মাওঃ ইয়াকুব আলী,
মাওঃ মাজহারুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম
প্রমূখ।
দাখিল’৩ ব্যাচের পক্ষে বক্তব্য রাখেন
জালাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, আবুল
হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান কিনেল,
আলী হোসেন, আব্দুর রশীদ দুদু, সাইফুল
ইসলাম মামুন ও ফায়েক উল হক চৌধুরী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ২০০৩ ব্যাচের
ছাত্রী জহুরা ফেরদৌস ও ফাতেমা বিনতে
ওয়াহিদ। অনুষ্ঠানে দাখিল’৩ ব্যাচের পক্ষ
হতে মাদ্রাসার মুহতারাম অধ্যক্ষ ও সকল
শিক্ষকবৃন্দকে সম্মাননা স্মারক প্রদান
করা হয়।
সংবাদটি শেয়ার করুন