বুধবার, জানুয়ারী ১১, ২০১৭

স্বপ্নের চারলেন সড়কের কাজ শুরু এ বছরেই : পর্যটন ও অর্থনীতি দু’টোই বদলে যাবে সিলেটের

স্বপ্নের চারলেন সড়কের কাজ
শুরু এ সিলেটবাসীর
স্বপ্নের চারলেন সড়ক নির্মাণ
কাজ শুরু হচ্ছে এ বছরেই। চীন
সরকারের অর্থায়নে হচ্ছে সিলেট-
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেন
প্রকল্পের কাজ। নির্মাণ
প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত বছরের
অক্টোবরে ‘ফ্রেমওয়ার্ক’ চুক্তি
স্বাক্ষর করেছে সরকারের সড়ক
পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
বিভিন্ন সময়ে অনিশ্চয়তার মধ্য
থাকা ঢাকা-সিলেট চারলেন
নিয়ে গত বছর (৪ ডিসেম্বর) জাতীয়
সংসদে সিলেট-২ আসনের সংসদ
সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া
জানতে চান, সিলেট-ঢাকা সড়ক
চারলেন কবে নাগাদ কাজ শুরু
হবে? জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল
কাদের বলেন, সংবাদপত্রে কি
লিখলো না লিখলো এটা দেখার
বিষয় নয়। আগামী জুন মাসে কাজ
শুরু হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।
এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তিন
ঘণ্টারও কম সময়ে ঢাকা থেকে
সিলেটে যাতায়াত করা যাবে।
চার লেনের পাশাপাশি দুটি
আলাদা সার্ভিস লেন থাকবে,
যেখানে ধীরে চলা গাড়ি চলাচল
করবে।
জানা যায়, এ প্রকল্পে সম্ভাব্য ব্যয়
ধরা হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি
টাকা। চীন দ্রুতগতিতে কাজটি
করবে। ২০১৮ সালের শেষ দিকে
অথবা ২০১৯ সালের শুরুর দিকে
সড়কটি চালু হবে বলে আশা করা
যায়।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী
মাহবুব আলম জানান, সম্ভাব্যতা
যাচাই এবং নকশা তৈরি শেষ
হয়েছে অনেক আগেই।চীনা
কোম্পানির সাথে চুক্তি সাক্ষর
হয়ে যাওয়ায় কাজ শুরু হওয়া শুধু
সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সওজের ঢাকা-সিলেট চার লেন
প্রকল্প সূত্র জানায়, ঢাকার কাঁচপুর
থেকে সিলেট পর্যন্ত ২২০
কিলোমিটার সড়ক দুই লেন থেকে
চারলেনে উন্নীত করা হবে। এই
চারলেনের দুইপাশে আলাদা
সার্ভিস লেন থাকবে। যেখানে
‘স্লোমুভিং’ যানবাহন চলাচল
করবে। চার লেনের সম্ভাব্য ব্যয়
ধরা হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি
টাকা। চীন এ অর্থ ঋণ হিসেবে
দিচ্ছে বাংলাদেশকে।
২২০ কিলোমিটার এই সড়কে চার
লেন প্রকল্পের মধ্যে ছোট
আকারের ৬০টি সেতু, চারটি
ফ্লাইওভার ও ২৭টি বক্স কালভার্ট
নির্মাণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি
অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মধ্যে ঢাকা-
সিলেট চারলেন করতে হবে। সে
কারণে এডিবির পরিবর্তে এ
মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার
কাজ করবে চীন। চীন ২০১৮ সালের
চারলেন করে দিতে পারবে বলে
জানিয়েছে।
প্রকল্পের একটি সূত্র জানিয়েছে,
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেন
কাজে কিলোমিটার প্রতি ব্যয়
হবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। যা
ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের প্রায়
৩ গুণ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন
প্রকল্পের আড়াই গুণেরও বেশি।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেনে
উন্নীত করার দাবি বেশ পুরোনো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার
নির্বাচনী অঙ্গীকারে এটা
বলেছিলেন। তবে কাজটি শুরু হতে
দেরি হয় অর্থায়ন নিয়ে
অনিশ্চয়তার কারণে। এডিবি না
চীন সরকার এর অর্থায়ন করবে এ
নিয়ে কয়েক দফা সরকারের
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ
(ইআরডি) কয়েক দফা চিঠি
চালাচালি করে। শুরুর দিকে চীন
আগ্রহ দেখালেও ইআরডি তা
প্রত্যাখ্যান করেছিলো। শেষে
চীনকে অর্থায়নের জন্য অনুরোধ
করেন তারা। শেষ পযন্ত চীন
সরকারই জি টু জি ভিত্তিতে এ
কাজ করতে রাজি হয়।
উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদ
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এখন
শুরু হলে মাত্র ৩ বছর পরই চার লেন
হয়ে যাবে মহাসড়কটি। তখন পর্যটন
ও অর্থনীতি দু’টোই বদলে যাবে
সিলেটের। বাড়বে জিডিপিও।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন