বুধবার, জানুয়ারী ০৪, ২০১৭

শামসুল উলামা আল্লামা ফুলতলী (র.) ঈসালে সওয়াব মাহফিল ১৫ জানুয়ারি

উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, শামসুল উলামা আল্লামা ফুলতলী (র.) ঈসালে সওয়াব মাহফিল ১৫ জানুয়ারি
রবিবার সকাল ১০ টা থেকে পরদিন ফজর পর্যন্ত সিলেটের
জকিগঞ্জ উপজেলার ফুলতলী ছাহেব
বাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে।
মাহফিলে তা-লীম তরবিয়ত পেশ করবেন
ফুলতলী (র.) বড় ছাহেবজাদা আল্লামা
ইমাদ উদ্দীন চৌধুরী। প্রতিবছরের ন্যায় এ
বছরও মাহফিলে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল
নামবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে দেশজুড়ে সওয়াব মাহফিলের
প্রচার প্রচারণা শুরু হয়েছে।
এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসুচী গ্রহণ করেছে
ফুলতলী (র.) হাতেগড়া গণসংগঠন
আনজুমানে আল ইসলাহ ও ছাত্র সংগঠন
আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া সহ
লতিফিয়া ক্বারী সোসাইটি।

সিলেটে ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জেলা ছাত্রলীগের র্যালী ও সমাবেশ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব,
ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৬৯তম
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের
উদ্যোগে বুধবার সিলেট নগরীর
রেজিষ্ট্রারী মাঠ থেকে এক
নগরীতে বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়।
র্যালিটি উদ্বোধন করেন সিলেট
জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত
চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর
রহমান।
র্যালীটি রেজিষ্ট্রারী মাঠ
থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক
প্রদক্ষিণ করে সিলেট কেন্দ্রীয়
শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ
হয়। র্যালী পরবর্তী সংক্ষিপ্ত
সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের
সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ
এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ
সম্পাদক এম. রায়হান চৌধুরীর
পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন-
সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের
সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ
সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সদর
উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক
আহমদ, সিলেট জেলা
আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন
খান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা
চেয়ারম্যান মো. আবু জাহিদ,
কৃষকলীগ নেতা আব্দুল মোমিন
চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা
আজাদুর রহমান আজাদ, এড. শামসুল
ইসলাম, শেখ মখলু মিয়া, কবির
উদ্দিন, ইসতিয়াক আহমদ চৌধুরী,
জগলু চৌধুরী, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম
আহ্বায়ক মুশফিক জায়গীরদার,
সেলিম আহমদ সেলিম,
আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা
সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি
আফসার আজিজ, সাধারণ সম্পাদক
জালাল উদ্দিন কয়েস, কাতার
আওয়ামী প্রজন্ম লীগের সভাপতি
আবু তাহের, সাবেক ছাত্রলীগ
নেতা আব্দুর রকিব বাবলু,
মনিরুজ্জামান সেলিম, সৈয়দ
বেলাল, মুবাশ্বির আলী, শামসুল
ইসলাম মিলন, জি কে মাসুক, অপু
দেব ,এমদাদ রহমান, সুজেল আহমদ
তালুকদার, জয়নাল আহমদ চৌধুরী,
মাসুদ খান, কামরুল ইসলাম চৌধুরী,
দুলাল আহমদ, রুমেল সিরাজ, মির্জা
সেরওয়ান, রাসেল আহমদ, নাজমুল
ইসলাম, মিজান আহমদ, কেন্দ্রীয়
ছাত্রলীগের সদস্য সাইফুল আহমদ
সফু, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সহ-
সভাপতি রাসেদুল ইসলাম, আলী
হোসেন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন
পারভেজ, এম মামুন উদ্দিন, সাইফুর
রহমান, সায়েদ আহমদ, খালেদুর
রহমান খালেদ, সুলেহ আহমদ মুন্না,
হারুনুর রশিদ, শাহিন আলী,
দেবাশিষ দেশমুখ্য রাজু, যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের খান,
জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান,
শাক্কুর আহমদ জনি, তোফায়েল
আহমদ সানি, সাংগঠনিক সম্পাদক
মুহিবুর রহমান মুহিব, মিজানুর
রহমান মিজান, ফাহিম আহমদ শাহ,
শাহীন আহমদ চৌধুরী নয়ন, মো.
সায়েম আহমদ, সম্পাদক মন্ডলীর
সদস্য নিলোয় কিশোর ধর জয়,
আদিরাজ উজ্জ্বল, আমান উদ্দিন,
রাফিকুল ইসলাম, মেহেদী হাসান
উজ্জল, মো. সামছুজ্জামান,
মাইসাত নুহেরী ইসলাম, সাবেল
রেজা, শিব্বির আহমদ, আশফাক
আহমদ মাসুদ, সাদিকুর রহমান
সাদিক, আতিকুল ইসলাম, এএইচ এম
রাজ্জাক, সাইফুর রহমান রাজন,
রাফিউল করিম মাসুম, মঞ্জুররুল
ইসলাম, রাজ্জাকুজ্জামান চৌধুরী,
ফাইযাদ আহমদ জামিল, এটিএম
ফয়ছল, সাদেক আহমদ খান খোকন,
আব্দুল আজাদ সেহনাজ, তারেক
হাসান চৌধুরী, ইমরান আহমদ,
মুহিবুর রহমান মুহিব, সৌরভ আহমদ
তালুকদার, মাসুম আহমদ মাহি,
উজ্জল রায়, নাসিরুল ইসলাম মঞ্জু,
সাকিল আহমদ, শহিদুল ইসলাম
শহিদ, হাবিবুর রহমান হাবিব,
সুহেল আহমদ, ইবাদ খান দিনার,
তারেক আহমদ, মীর আল মুমিন,
নিপন সুত্র ধর, সাদেক হোসেন
সাদেক, মিজানুর রহমান পিনু,
শামিম আহমদ, ফাহাদ আহমদ,
ফারহান সাদিক জিহান, ইহয়া
রহমান, এম এ রাজ্জাক, বিষনু কুমার,
জুবের, পুলক, আব্দুল আহাদ প্রমুখ।

কারামুক্ত আরিফ : আমাকে জনগন ভোট দিয়ে মেয়র বানিয়েছেন

আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন,
আমাকে জনগন ভোট দিয়ে মেয়র
বানিয়েছেন। কেবল জনগনই
আমাকে বহিস্কার করতে পারে।
তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক
বহিস্কার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের
এক প্রশ্নের জবাবে আরিফুল হক এ
কথা বলেন।
দুই বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি
পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় কুমারপাড়ায়
নিজ বাসায় ফেরেন আরিফ। এসময়
সাংবাদিকদের সাথে আলাপ
করেন এই বিএনপি নেতা।
আরিফ বলেন, সকলের সহযোগীতা ও
ভালোবাসায় আমি মুক্তি
পেয়েছি। আমার মা অসুস্থ, আমি
নিজেও অসুস্থ। আদালত এসব
বিবেচনায় নিয়ে আমাকে জামিন
প্রদান করেছেন।
২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি স্থানীয়
সরকার মন্ত্রনালয় এক আদেশে
আরিফুল হককে মেয়র পদ থেকে
সাময়িক বহিস্কার করে। ২০১৩
সালের ১৫ জুন সিলেট সিটি
নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত
হয়েছিলেন আরিফ।
বাসায় ঢুকেই আরিফুল হক নিজের
মেয়েকে জড়িয়ে ধরেন। এসময়
পরিবারের অন্য সদস্যরাও এগিয়ে
আসেন। এরপর আরিফ যান পাশের
কক্ষে। যেখানে অপেক্ষায় আছেন
তাঁর মা। সে কক্ষে ঢুকে আরিফ
পায়ের পায়ে ধরে সালাম করেন।
এসময় ছেলেকে বুকে টেনে নেন মা
আমিনা খাতুন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস
কিবরিয়া হত্যা মামলার
এজাহারভূক্ত আসামী হিসেবে
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর
হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক
হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ
করেন আরিফ। ওইদিন আদালত তাঁর
জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল
হাজতে প্রেরণ করেন।
দুই বছর পর চারটি মামলায় জামিন
পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় কারামুক্ত হন
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। মাঝে
গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে অসুস্থ
মাকে দেখার জন্য ১৫ দিনের জন্য
প্যারোলে মুক্ত ছিলেন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস
কিবরিয়া হত্যা ও বিস্ফোরক
মামলা এবং সুনামগঞ্জের
দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের
জনসভায় বোমা হামলার দুটি
মামলায় উচ্চ আদালত থেকে
জামিন পান তিনি।
এর আগে দুপুরে সিলেট জেলা ও
দায়রা জজ আদালতে হাজির করা
হয় আরিফুল হক চৌধুরীকে।
দ্রুত বিচার আদালতের পিপি
কিশোর কুমার কর জানান, জেলা ও
দায়রা জজ মনির আহমদ
পাটোয়ারীর আদালতে তার উপর
জারি করা প্রডাকশন ওয়ারেন্ট
শুনানি শেষে তা প্রত্যাহার করার
আদেশ দেওয়া হয়। আদেশের কপি
কারাগারে পৌঁছার পরই মুক্তি
দেওয়া হয় সিলেট সিটি
কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত
এই মেয়রকে।
সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা
মামলায় ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর
আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ
পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ এবং
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা
জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ
চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে
সংশোধিত সম্পূরক অভিযোগপত্র
দেয় সিআইডি।
এরপর ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর ওই
১১ জনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা
জারি করে আদালত। পরোয়ানা
জারির পর একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর
আরিফুল আদালতে আত্মসমর্পণ
করলে তাকে কারাগারে পাঠানো
হয়।
২০০৪ সালের ২১ জুন দুপুরে দিরাইয়ে
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা
পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত
সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলা
হলে এক যুবলীগকর্মী নিহত ও ২৯ জন
আহত হন।
ওই ঘটনায় দিরাই থানায় করা
হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের
মামলায় আরিফুলসহ ১৩ জনকে
আসামি করে আদালতে
অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে
ওই দু’টি মামলায় গ্রেপ্তার
দেখানো হয় আরিফুলকে।