রবিবার, ফেব্রুয়ারী ০৫, ২০১৭

ফেঞ্চুগঞ্জে দুই ভাইয়ের অজানা বিরল রোগ

তাজেম
(৮) ও তাজিম
(৬)। এ বয়সে যাদের পাঠশালায়
যাওয়ার এবং গ্রামের মেঠোপথে
দুরন্তপনার সময়। কিন্তু তাদের দুই ভাই
বের হতে পারছেন না ঘরের গণ্ডি
থেকে। কেননা; জন্মের পর থেকেই
তাদের শরীরে বাসা বেঁধেছে অজানা
বিরল রোগ।
এ রোগের কষ্টভোগ করে জীবনকে কুরে
কুরে খাচ্ছে, আর জীবনটা বিষিয়ে
উঠেছে। ডাক্তারের ভাষায় বিরল এই
রোগের নাম ‘ডুসেন মাস্কুলার
ডিস্ট্রোফি’। তাদের গ্রামের বাড়ি
উপজেলার বাদেদেউলিতে। বাবা ইতুর
আলী দিনমজুর। অর্থনৈতিক দৈনদশার
কারনে দুই ছেলের এমন বিরল রোগের
আধুনিক চিকিৎসা করাতে পারছেন না
তিনি।
ইতুর আলী জানান, জন্মের পর থেকে
ছেলে দুটি শুকিয়ে যাচ্ছিলো। তাদের
বুকের পাজরসহ শরীরের বিভিন্ন
হাড়গুলো দৃশ্যমান হয়ে যায়। প্রাথমিক
ভাবে ডাক্তার-কবিরাজি করিয়ে লাভ
হয়নি। পরবর্তীতে স্থানীয় এলাকার
মকসুদ চৌধুরীর সহায়তায় সিলেট শহরে
ড: দিপংকর নাথের কাছে তাদের
দুভাইকে নিয়ে গেলে এ রোগ ধরা পড়ে।
এ চিকিতসা ব্যয়বহুল ও সফল হবার
সম্ভাবনা কম শুনে নিরাশ হয়ে
পড়েছেন তারা। এজন্য তারা বাবা
সমাজের মানবিক বিত্তবানদের
সহায়তা কামনা করেন।
বিষয়টি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী
অফিসার হুরে জান্নাতকে জানালে
তিনি এই প্রতিবেদকে বলেন, ‘আপনি
বিস্তারিত জানুন, মেডিকেল বোর্ড
গঠন করে দেখা যাবে কি করা যায়।’
সিলেট সিভিল সার্জন ড: হাবিবুর
রহমান বলেন, রুগী না দেখে তেমন কিছু
বলা যাবে না। তবে রোগ জটিল
অবস্থায় না গেলে চিকিতসা হতে
পারে। তিনি রুগীদের সিলেট এম,এ,জি
ওসমানী হাসপাতলের শিশু বিভাগে
ভর্তি করার পরামর্শ দেন।