শনিবার, এপ্রিল ০৭, ২০১৮

কলঙ্কে আঁকা ভালবাসা করিমুননেসার প্রেমকাহিনী

লংলা গাঁইয়া বেটি গো উঁচাত বান্ধো খোঁপা, হাইর গলাত ছিয়া ফালাইয়া দেশো রাখছো খোঁটা’ সিলেট অঞ্চলে প্রচলিত একটি প্রবাদ, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার লংলার এক নারীকে উদ্দেশ্য করে রচিত। প্রবাদটি বলছে, লংলার ওই নারী তার স্বামীকে হত্যা করে সারা দেশে লংলার নারীদের জন্য কলঙ্কের চিহ্ন এঁকে দিয়েছে। যাকে উদ্দেশ্য করে এই প্রবাদের জন্য তার নাম করিমুননেসা। করিমুননেসা। লংলা পরগণার কানাইটিকরের নজম্বর আলী চৌধুরীর মেয়ে। রূপে গুণে অনন্যা। জমিদারকন্যা হলেও আভিজাত্যের প্রতি কোনো মোহ ছিলো না তার। বরং প্রজাদের প্রতি জমিদারদের অত্যাচারের গল্প শুনে তার মন কেঁদে উঠতো। ধনী-দরিদ্রের ভেদ ছিলো না তার মনে। সবাইকেই সমান চোখে দেখতেন, ভালোবাসতেন। ভালোবাসার কাঙাল-এ করিমুননেসাই- পুরো সিলেটে যেনো এক ঘৃণিত চরিত্র। হৃদয়ের ভালোবাসাই তাকে ঘৃণার পাত্রীতে পরিণত করেছে। করিমুননেসা প্রাণচঞ্চল এক কিশোরী। মন দিয়ে বসেছিলেন বাবার সেরেস্তাদারকে (হিসাবরক্ষক)। অবসর সময়ে ওই সেরেস্তাদার পড়া দেখিয়ে দিতেন করিমুননেসাকে। পাঠের ফাঁকে ফাঁকে মনের অজান্তেই মন বিনিময় হয়ে যায় দু’জনের। দু’জনের মনের ঘরে ভালোবাসা বাসা বাঁধলেও কেউই কাউকে মুখ ফোটে কিছু বলেননি সাহসের অভাবে। এরই মাঝে বিয়ে ঠিক হয় করিমুননেসার। পাত্র ইটার জমিদার দেওয়ান মো. মনসুর ওরফে কটু মিয়া। বাবা দেওয়ান মো. সাকির মৃত্যুর পর তিনি একাই সামলাচ্ছেন ইটার বিশাল জমিদারি। বিয়ের খবরে কান্নার ঢেউ ভাঙে করিমুননেসার চোখে। বুকে যেনো হাতুড়ির ঘা পড়তে থাকে। ভালোবাসার মানুষটিকে ছেড়ে যেতে মন মানছিলো না কিছুতেই। কিন্তু উপায় নেই বাবার কথা উল্টানোর। কাউকে বললেও কিছু হবে না। বুকের ব্যথা বুকে রেখেই মেনে নেন নিজের নিয়তি। বিয়ের পর বাবার বাড়ি ছেড়ে করিমুননেসার ঠিকানা হয় ইটায়। একা সংসারে ভালো লাগে না করিমুন নেসার। স্বামীরও সময় নেই সময় দেওয়ার। স্বামী তার ব্যস্ত জমিদারি নিয়ে। ভোগ-বিলাসেও কিছুটা সময় কাটে কটু মিয়ার। স্বামীর সংসারে ভালোবাসার দেখা পেলে হয়তো প্রথম প্রেম ভুলেও যেতেন করিমুননেসা। একাকিত্ব তার প্রেমকে আরো জাগিয়ে তুলে। বিয়ের পর বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে করিমুননেসার দেখা হয় তার গৃহশিক্ষকের সাথে। বুকে চাপা রাখা ভালোবাসা ফোলে উঠে জোয়ারের মতো। করিমুননেসা সিদ্ধান্ত নেন আর ফিরে যাবেন না ইটায়। এরই মাঝে কটু মিয়া বেড়াতে আসেন লংলায়। শ্বশুরবাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু হয় কটু মিয়ার। সন্দেহের তীর ধেয়ে যায় করিমুননেসার

আল্লামা বড় ছাহেব কিবলাহ প্রায় ই অাবৃত্তি করেন-

বালাই হাওরের কান্না
"হে প্রভাত সমীর! সমস্ত রজনী অামি বিরহের কান্না কেঁদেছি, কোনো মাধ্যম পাই নাই যে, অাল্লাহর হাবীবের দরবারে সালাম পৌছাব। হে বিরহী জনের সংবাদবাহী! অামার নয়নের জল অাল্লাহর হাবীবের কবরের পবিত্র মাটির উপর রাখিয়া অাসিও"। "জীবন তো শেষ হতে চলেছে; বার্ধক্যে মদিনা মুনাওরার রাহগীর হইলাম, অামার দূর্বল হাতে প্রেমের ছিটা তুলে দিলাম, সেই সে পাখির মতো; সন্ধ্যা নামতেছে, অাশায় অাশায় ডানা বিস্তার করলুম" "অাল্লামা ইকবাল বলতেছেন, বন্ধু অামার! তুমি যখন রওদ্বা মোবারকের পাশে দাঁড়াও তখন এই ভাবনা মনে রাখিও যদি অাদবের কোনো স্থান থাকে অাকাশের নিচে তবে এই রওদ্বা মোবারক মদিনা শরীফ, বায়জিদ বোস্তামি, জোনায়েদ বাগদাদী এইখানে শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় দাঁড়িয়েছেন।" অায় রাব্বে কারীম! তোমার হাবীবের দীদার অামাদের কাম্য, পথের অন্তরায় দূর করে দাও, ফানা ফির্ রাসুল পয়দা করো... অামিন ইয়া রব

ষষ্ট শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী শাম্মি বাচঁতে চায়

ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিদিন: ১১ বছরের মেয়ে হাটুভাঙ্গা মাদরাসার ষষ্ট শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী দোরারোগ্য ক্যান্সারজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনতে হচ্ছে শাম্মিকে। শাম্মি কুলাউড়ার ছকাপন, ফরিদপুর গ্রামের হতদরিদ্র মালিক মিয়ার মেয়ে এবং ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার করিমপুর, ছেরাগি গ্রামের আজমল আলীর ভাগ্নি, শাম্মি বর্তমানে তার মামার বাড়িতে থেকে হাটুভাঙ্গা মাদরাসায় ষষ্ট শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছিলো। বিগত কয়েক মাশ আগেও শাম্মি ভালোই ছিলো কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস এই বয়সেই শাম্মি ক্যন্সারে আক্রান্ত হয়। শাম্মির মামা আজমল আলী বলেন বিগত ৫ মাশ থেকে শাম্মিকে নিয়ে মা ঘুরছেন এই ডাক্তারের চেম্বার থেকে আরেক ডাক্তারের চেম্বারে।শাম্মির বাবা- মা এখন পর্যন্ত চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখেননি শাম্মির ’র চিকিৎসার ব্যাপারে সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু বর্তমানে তারা প্রায় নিঃস্ব অবস্থায় আছেন। শাম্মিকে বাঁচাতে তাদের সব কিছুই বিলিয়ে দিয়েছেন। এখন তাদের পক্ষে এতো টাকা সংগ্রহ করে শাম্মির চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। শাম্মি বর্তমানে চিকিৎসারর অভাবে মামার বাড়িতে বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনতে হচ্ছে শাম্মির ’র বাবা- মা মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন। শাম্মিকে সাহায্য পাঠাতে নিম্ন তাহার মায়ের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। (01751734082)

৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সিলেট মহানগর জাগপার আলোচনা সভা অনুষ্টিত

২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি এডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব বলেন, দেশে আইনের শাসন না থাকায় হত্যাকা- বাড়ছে। মানবাধিকারের নিরাপত্তা না থাকায় মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। একই সঙ্গে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ও উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। তিনি আরো বলেন, দেশে আইনের শাসনের অভাব রয়েছে। আইনের শাসন না থাকায় কারণেই ২০ দলীয় জোট নেত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন। দেশে গণতন্ত্র ও আইন শাসন প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান। তিনি গত ৬ এপ্রিল শুক্রবার নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)’র ৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও প্রয়াত মজলুম জননেতা জাগপার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম শফিউল প্রধানের স্মরণে সিলেট মহানগর জাগপা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সিলেট মহানগর জাগপার সভাপতি আমিনুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মায়িন আহমদ মাহি’র পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও মহানগর সভাপতি মাহবুবুর রহমান খালেদ, জাগপার কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান আহমদ লিটন, ইসলামী ঐকজোট সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রফিক বিন সিকান্দর। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা জাগপার সাবেক সহ সভাপতি মোঃ পিয়ার হোসেন, মহানগর জাগপার সহ সাংগঠনিক শাহজাহান আহমদ সাজু, সহ দপ্তর সম্পাদক খলিলুর রহমান খলিল, জেলা শাখার সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোঃ আব্দুস সোবহান, যুব জাগপা সিলেট মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সুরমা পারের সমাজিক যুব সংঘ সিলেট জেলা সভাপতি আব্দুল জলিল আহমদ, জাগপা সদস্য মোঃ জোসনা বেগম, মোছাঃ কাজল বেগম প্রমুখ। সভায় মরহুম শফিউল আলম প্রধান সহ ২০ জোটের মরহুম নেতাকর্মীদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি

hi

hi