বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০১৭

পাকিস্তান সুপার লীগে প্রথম ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ


স্পোর্টস ডেস্কঃ পাকিস্তান সুপার
লীগের দল কোয়েটা
গ্লাডিয়েটর্সের হয়ে প্রথম ম্যাচেই
আলো ছড়িয়েছেন বাংলাদেশের
অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ । ২০ বলে
২টি চার ও একটি ছয়ে ২৯ রানের এক
বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। তবুও
তার দল হেরেছে ৫উইকেটের
ব্যবধানে। প্রথমে ব্যাট করে ৬
উইকেট হারিয়ে মাহমুদুল্লার দল
কোয়েটা তুলে ১৪৮ রান। জবাবে সাম
বিলিংসের ৭৮ রানের ইনিংসে সহজ জয়
তুলে নেয় ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।
ভারতের বিপক্ষে টেস্টের কারণে
পিএসএলের শুরু থেকে থাকতে
পারেননি মাহমুদউল্লাহ।তাই টেস্ট শেষ
করেই দুবাইতে গিয়েছেন তিনি। যোগ
দিয়েছেন কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স
শিবিরে।

শুভ জন্মদিন বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম

আবু তায়েফ শিবলু:
সঙ্গীত


সাধক ও বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল
করিমের জন্মদিন আজ। সুনামগঞ্জের দিরাই
উপজেলার ধলআশ্রম গ্রামে ১৯১৬ সালের ১৫
ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন বাংলা বাউল গানের
এই জীবন্ত কিংবদন্তী।
হাওর অঞ্চল বলে খ্যাত সুনামগঞ্জে কালনীর
তীরে বেড়ে ওঠা এই বাউল সাধক আজীবন
গানে গানে বলে গেছেন বাংলাদেশ, বাঙালি
আর অসাম্প্রদায়িক সমাজ নির্মাণের কথা। ভাটি
অঞ্চলের মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখ,
প্রেম-ভালোবাসার পাশাপাশি তার গান কথা
বলেছে সকল অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার আর
সাম্প্রদায়িকতার বিরূদ্ধে। শাহ আব্দুল করিমের গান
ভাটি অঞ্চলে জনপ্রিয় হলেও দেশের
শহরাঞ্চলের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পায় মাত্র
কয়েক বছর আগে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায়
দেড় সহস্রাধিক গান লিখেছেন তিনি।
দারিদ্রতা ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া
বাউল শাহ আবদুল করিমের সঙ্গীত সাধনার শুরু
ছেলেবেলা থেকেই। বাউল সম্রাটকে
গানের প্রেরণা দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী
আফতাবুন্নেসা। তিনি তাকে আদর করে
ডাকতেন ‘সরলা’। পাশাপাশি তিনি তাঁর গানের
অনুপ্রেরনা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউল সাধক
ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ এবং দুদ্দু শাহ এর দর্শন
থেকেও।
যদিও দারিদ্রতা তাঁকে বাধ্য করে কৃষিকাজে তাঁর
শ্রম ব্যয় করতে, কিন্তু কোন কিছু তাঁকে গান
সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তিনি
আধ্যাত্মিক ও বাউল গানের দীক্ষা লাভ করেন
কামাল উদ্দীন, সাধক রশীদ উদ্দীন, শাহ
ইব্রাহীম মাস্তান বকশ এর কাছ থেকে।
শরীয়তী, মারফতি, নবুয়ত, বেলায়া সহ সব
ধরণের বাউল গান এবং গানের অন্যান্য শাখার চর্চাও
করেছেন তিনি।
বাউল শাহ আবদুল করিমের লেখা গান নিয়ে এ
পর্যন্ত ৬টি গানের বই প্রকাশিত হয়েছে।
বইগুলো হলো- আফতাব সঙ্গীত (১৯৪৮),
গণসঙ্গীত (১৯৫৭), কালনীর ঢেউ (১৯৮১),
ধলমেলা (১৯৯০), ভাটির চিঠি (১৯৯৮), কালনীর
কূলে (২০০১) ও শাহ আবদুল করিম রচনাসমগ্র
(২০০৯)। এছাড়া বাংলা একাডেমির উদ্যোগে তাঁর
১০টি গান ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে।
বাউল শাহ আব্দুল করিম ২০০১ সালে একুশে পদক
লাভ করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় পেয়েছেন
লেবাক এ্যাওয়ার্ড (২০০৩), মেরিল-প্রথম
আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার (২০০৪),
সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস
আজীবন সম্মাননা (২০০৫), বাংলাদেশ জাতিসংঘ
সমিতি সম্মাননা (২০০৬), খান বাহাদুর এহিয়া পদক
(২০০৮), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী সম্মাননা
(২০০৮), হাতিল এ্যাওয়ার্ড (২০০৯), এনসিসি ব্যাংক এনএ
সম্মাননা (২০০৯) ও কথা সাহিত্যিক আবদুর রউফ চৌধুরি
পদক (২০০০)।
বাউল সাধক শাহ আবদুল করিম জীবনের একটি বড়
অংশ লড়াই করেছেন দারিদ্রতার সাথে। বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময় তাঁর সাহায্যার্থে এগিয়ে
এলেও তা যথেষ্ঠ ছিল না। ২০০৬ সালে 'সাউন্ড
মেশিন' নামের একটি অডিও প্রকাশনা সংস্থা তাঁর
সম্মানে ‘জীবন্ত কিংবদন্তীঃ বাউল শাহ আবদুল
করিম’ নামে বিভিন্ন শিল্পীর গাওয়া তাঁর জনপ্রিয়
১২টি গানের একটি অ্যালবাম প্রকাশ করে। এই
অ্যালবামের বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থ তাঁর
বার্ধক্যজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য তাঁর
পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ৭টা
৫৮ মিনিটে সিলেটের একটি ক্লিনিকে শেষ
নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মহান এই বাউল সম্রাট।

“২ ও ৩ মার্চ আলিয়া মাঠে সিলেটের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে”


সিলেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়
ধর্মীয় সমাবেশ সিলেট সরকারি আলিয়া
মাঠে আগামী ২ ও ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত
হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন
বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র
সভাপতি ও আন্তর্জাতিক শানে রিসালত
মহাসম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক
আল্লামা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী।
তিনি গত রোববার নগরীর একটি অভিজাত
হোটেলের হলরুমে আন্তর্জাতিক
শানে রিসালত মহাসম্মেলন সফলের
লক্ষ্যে সিলেটের প্রিন্ট ও
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দের সাথে
মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন-
শানে রিসালত মহাসম্মেলন বাস্তবায়ন
কমিটির সদস্য সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আহমদ হাসান
চৌধুরী।
সম্মেলনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন-
“বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী প্রিয়নবী
হযরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বকালের
সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ মহামানব। তাঁর
জীবন ও কর্ম গোটা মানবজাতির জন্য
অনুসরণীয়-অনুকরণীয়। ধর্ম-বর্ণ
নির্বিশেষে সকল কালের সকল মানুষের
জন্য তাঁর সুমহান চরিত্র সর্বোত্তম
চরিত্রের নমুনা। তাঁর আদর্শ অনুসরণে
একসময় সারা দুনিয়ায় সাম্য, শান্তি ও ন্যায়-
ইনসাফের ফল্গুধারা প্রবাহিত হয়েছিল।
আজ তাঁর আদর্শ থেকে বিচ্যুতির কারণে
দিকে দিকে বিরাজ করছে অন্যায়, অনাচার,
অশান্তি আর বিশৃঙ্খলা। এমনি পরিস্থিতিতে
প্রকৃত শান্তি ও মুক্তি খুঁজে পেতে
হলে আমাদের আবারো মহানবী (সা.)-
এর আদর্শের দিকে প্রত্যাবর্তন করা
আবশ্যক। একই লক্ষ্যে দুনিয়ার মানুষের
সামনে তাঁর সার্বজনীন আদর্শকে
ব্যাপকভাবে তুলে ধরা প্রয়োজন। এ
উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আগামী
২ ও ৩ মার্চ সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা
মাঠে ‘আন্তর্জাতিক শানে রিসালত
মহাসম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।” এ
সম্মেলনের সাথে ২০০৪ সালে হযরত
আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর
আহবানে আয়োজিত আন্তর্জাতিক
শানে রিসালত মহাসম্মেলনের
যোগসূত্র তুলে ধরে লিখিত বক্তব্যে
বলা হয়, ২ ও ৩ মার্চের মহাসম্মেলনে
দেশবরেণ্য উলামা-মাশায়িখ ও শিক্ষাবিদগণ
ছাড়াও সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন ও ভারতসহ
বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান পীর-মাশায়িখ ও
ইসলামী চিন্তাবিদগণ উপস্থিত হবেন।
সেখানে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম
ঘটবে এমন প্রত্যাশা করে তিনি
সম্মেলন সফল করতে সিলেটের
প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,
ব্যবসায়ীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক
মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, পরিবহন মালিক ও
শ্রমিকবৃন্দসহ সর্বস্তরের
সিলেটবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা
করেন।
আনজুমানে আল ইসলাহ’র কেন্দ্রীয়
সদস্য হাফিয নজীর আহমদ এর পরিচালনায়
সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ
আনজুমানে আল ইসলাহ’র মহাসচিব
অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম মনোওর
আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা
মঈনুল ইসলাম পারভেজ, তালামীযে
ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ
ফখরুল ইসলাম, আনজুমানে আল ইসলাহর
কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ
মাওলানা আবু ছালেহ মোঃ কুতবুল আলম,
শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা নজমুল
হুদা খান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা
মাহমুদ হাসান চৌধুরী, তালামীযে
ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুহা.
শরীফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান
আহমদ চৌধুরী, সাবেক কেন্দ্রীয়
সভাপতি মাওলানা আজির উদ্দীন পাশা, মাওলানা
বেলাল আহমদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক
সম্পাদক মুহিবুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা
সম্পাদক আখতার হোসাইন জাহেদ,
আনজুমানে আল ইসলাহ’র সিলেট জেলা
সহ-সভাপতি হাফিয তরীকুল ইসলাম
তোফা, মহানগরী সহ-সাধারণ সম্পাদক
মাওলানা আব্দুস সবুর, তালামীযে
ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার ও
প্রকাশনা সম্পাদক হুমায়ূনুর রহমান লেখন,
অফিস সম্পাদক মুহাম্মদ উসমান গণি, সিলেট
জেলা আল ইসলাহ’র সাংগঠনিক সম্পাদক
মাওলানা হারুনুর রশিদ, মহানগরী সহ-সাংগঠনিক
সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ কুতবুল আলম,
তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয়
সদস্য সৈয়দ আহমদ আল জামিল, মো.
তৌরিছ আলী, সোহাইল আহমদ তালুকদার,
সিলেট পূর্ব জেলা সভাপতি সাইফুর রহমান
শিপু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালিক রুহিল
শাহ, সিলেট পশ্চিম জেলা সাধারণ সম্পাদক
জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, এমসি কলেজ
সভাপতি আহমদ শরীফ প্রমুখ।