শুক্রবার, জানুয়ারী ১৩, ২০১৭

ফেঞ্চুগঞ্জে সৈয়দ মুজিবুর রহমান কয়েস স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে সৈয়দ মুজিবুর
রহমান কয়েস স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের
ফাইনাল খেলায় মামু-ভাগনা
স্পোর্টিং ক্লাব টাইব্রেকারে ৩-২
গোলে আর.পি বয়েজ রাজনপুরকে
পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব
অর্জন করেছে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) ফেঞ্চুগঞ্জের
কাসিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে
ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
শতশত ক্রীড়ামোদী দর্শকদের
উপস্থিতিতে খেলার শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত উভয় দলের খেলোয়াড় আক্রমন
পাল্টা আক্রমণের মধ্যে দিয়ে খেলতে
থাকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে
খেলায় কোনও দল গোল করতে না-
পারায় খেলা টাইব্রেকারে গড়ায়।
টাইব্রেকারে মামু-ভাগনা স্পোর্টিং
ক্লাব ৩-২ গোলে আর.পি বয়েজকে
পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব
অর্জন করে।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী সভা
অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব রাজনপুর
ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি, বিশিষ্ট
ক্রীড়া সংগঠক এনায়েত হোসেন রুহেল।
আহসানুল করিম জেমন ও বিলাল আহমদ
শাহের যৌথ পরিচালনায় সভায় প্রধান
অতিথি হিসেবে খেলোয়াড়দের মধ্যে
পুরস্কার বিতরণ করেন বিশিষ্ট যুব
সংগঠক, ফেঞ্চুগঞ্জ যুব-সংঘের সভাপতি
রাজু আহমদ রাজা।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন- সমাজসেবী আবুল
হোসেন শাহ, সাংবাদিক শাহ মুজিবুর
রহমান জকন, ক্রীড়া সংগঠক
ওহিদুজ্জামান চৌধূরী ছুফি,
সাংবাদিক জুয়েল খান, উপজেলা
ছাত্রদলের আহবায়ক এম.জে আহমেদ
জাবেদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক
আহবায়ক মাসার আহমদ শাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ব্যবসায়ী আব্দুল
হাই খসরু, নজমুল খান, সৈয়দ শামসুল
আলম বাচ্চু ও উপজেলা ছাত্রলীগের
সভাপতি মো. জুনেদ আহমদ।
সহস্রাধিক ক্রীড়ামোদী দর্শক
ফাইনাল খেলাটি উপভোগ করেন।
খেলা চলাকালীন সময়ে ধারাবর্ণনা
দেন জাকারিয়া আহমদ খান ও রাসেদ
আহমদ।
রাজনপুর ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে
সৈয়দ মুজিবুর রহমান কয়েস স্মৃতি ফুটবল
টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হয়। টুর্নামেণ্টে
মোট ৩২টি দল অংশগ্রহণ করে।

জাতীয় ফুটবল দলে কে হচ্ছেন নতুন কোচ

কে হচ্ছেন জাতীয় দলের কোচ?
ম্যানেজার পদেও হতে পারে রদবদল
আপনারা কাকে চাচ্ছেন?
জাতীয় ফুটবল দলে কে হচ্ছেন নতুন কোচ

চলতি বছরে আন্তর্জাতিক শিডিউলে তেমন
ব্যস্ততা নেই। মার্চে হবে বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ। ডিসেম্বরে সাফ
চ্যাম্পিয়নশিপ। এ ছাড়া বাফুফের টার্গেট
রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রীতি ম্যাচ খেলার।
বাফুফের সব সময় পছন্দ বিদেশি কোচের।
আপাতত সেই চিন্তা করছে না। লোকালদের
হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে চাচ্ছে।
নির্দিষ্ট করে কাউকে ঠিক না করলেও
শোনা যাচ্ছে মারুফুল হক, সাইফুল বারী
টিটু ও কামাল বাবুর নাম।
টিটু অবশ্য ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় শেখ
কামাল আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে
চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ হচ্ছেন।
বাস্তবতার কারণে তার পক্ষে জাতীয়
দলের দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব নয়। বাকি
থাকল মারুফ ও কামাল বাবু। মারুফের
প্রশিক্ষণে গেল সাফ চ্যাম্পিয়ন ও বঙ্গবন্ধু
গোল্ডকাপে জাতীয় দল চরম ব্যর্থতার
পরিচয় দিয়েছে। তা ছাড়া ঘরোয়া আসরেও
তিনি ছিলেন ফ্লপ। শক্তিশালী দল গড়ার
পরও শেখ রাসেলের পারফরম্যান্স ছিল
হতাশাজনক। তাই পেশাদার লিগে প্রথম
পর্বের শেষের দিকে মারুফকে সরিয়ে
দেওয়া হয়। প্রশ্ন উঠেছে, ব্যর্থ হওয়ার পরও
মারুফের নাম আলোচনায় আসবে কেন?
ক্যারিয়ারে বড় কোনো দলের কোচের
দায়িত্ব পালন করেননি কামাল বাবু। তবে
প্রতিবারই ঘরোয়া আসরে আলোচিত হচ্ছেন
তিনি। এবার তো রীতিমতো আলোড়ন
তুলেছেন। অচেনা-অজানা খেলোয়াড় নিয়ে
রহমতগঞ্জ লিগের প্রথম পর্বে অসাধারণ
পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে। মনে হচ্ছিল
চ্যাম্পিয়ন ফাইট দেবে। দ্বিতীয় পর্বে
অবশ্য সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে
পারেনি। গোল পার্থক্যে তারা শেষ
পর্যন্ত সপ্তম স্থান দখল করে। এ নিয়ে অবশ্য
নানা গুঞ্জন রয়েছে। ঘরোয়া আসরে
কামাল বাবু নিঃসন্দেহে সার্থক কোচ।
তবে জাতীয় দলের চাপটা নিতে পারবেন
কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বড় দল
ছাড়া দেশের ফুটবল ইহিতাসে এ পর্যন্ত
জাতীয় দলের কোচ হতে পারেননি কেউ।
কামাল বাবু এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটাতে
পারেন কিনা দেখার বিষয়। আর জাতীয়
দলের এমন বিপর্যয়ে বাফুফে চাইলেও মারুফ
সাড়া দেবেন কি? তাহলে কে হচ্ছেন
জাতীয় দলের কোচ। আগামী সপ্তাহে
বাফুফের নির্বাহী কমিটির বৈঠক রয়েছে।
সেখানেই নাকি বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
কোচের নাম কেউ স্পষ্ট করে জানাচ্ছেন
না।
বাফুফে চাচ্ছে লোকাল কোচ। যদি না
পাওয়া যায়? এ ক্ষেত্রে ঘুরেফিরে আসছে
নেদারল্যান্ডসের লোডডিক ডি ক্রুইফের
নাম। তিনি আপৎকালীন কোচের দায়িত্ব
পেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
কোচের পাশাপাশি ম্যানেজার নিয়ে
চলছে গুঞ্জন। সত্যজিত দাস রুপু এতদিন
দায়িত্বে থাকলেও শোনা যাচ্ছে আমিরুল
ইসলাম বাবুর নাম। জানা গেছে, বাফুফে
সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন চাচ্ছেন
ম্যানেজার পদে পরিবর্তন আনতে।
দেশের ফুটবলের অভিভাবক হিসেবে
জাতীয় দলকে আপাতত আপনারা কাদের
হাতে তুলে দিতে চাচ্ছেন??? আর আমাদের
কি কি অংশে পরিবর্তন আনা দরকার, কোন
কোন জায়গায় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করলে
আউটপুট বেশি পাবো

তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু

ফেঞ্চুগঞ্জ পতিদিন ডেস্ক:
আমবয়ানের মাধ্যমে তুরাগ নদীর তীরে
টঙ্গীতে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার
প্রথম পর্ব। দেশ-বিদেশ থেকে হাজারো
মুসল্লি এই ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) ফজরের
নামাজের পর হজ্জের
পর বিশ্ব মুসলিমের
বৃহৎ জমায়েত শুরু হয়। এছাড়া আজ শুক্রবার
ইজতেমা ময়দানে জুমার নামাজ হবে।
নামাজের আগে হেদায়েতি বয়ান করা
হবে।
আগামী রোববার জোহরের নামাজের
আগে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে
শেষ হবে প্রথম পর্ব। চার দিন পর ২০
জানুয়ারি থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব।
২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য
দিয়ে ওই পর্ব শেষ হবে।
ইজতেমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল
হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
বাণী দিয়েছেন।
ইজতেমা এলাকায় পাঁচ স্তরের
নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এবারই প্রথম ইজতেমার চারদিক এবং
বাইরে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা
হয়েছে।
তুরাগ তীরে ১৬০ একর জায়গাজুড়ে চট ও
নাইলনের কাপড় দিয়ে সুবিশাল
প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। বিদেশি
মেহমানদের জন্য ময়দানের উত্তর-পশ্চিম
কোণে টিনের ছাউনি দিয়ে বিশেষ
পদ্ধতিতে থাকা-খাওয়াসহ সব ধরনের
ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশ
থেকে আসা মুসল্লিরা ইতিমধ্যে
ময়দানের বিদেশি নিবাসে অবস্থান
নিতে শুরু করেছেন। তবে কতজন বিদেশি
মুসল্লি মেহমানখানায় এসে পৌঁছেছেন
সেই পরিসংখ্যান গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত
কেউ বলতে পারেননি।
ইজতেমাস্থলে যাতায়াতের সুবিধার্থে
সড়ক ও জনপথের রাস্তাগুলো সংস্কার
এবং ফুট ওভারব্রিজগুলো চলাচলের
উপযোগী করা হয়েছে। মুসল্লিদের
যাতায়াতের জন্য সেনাবাহিনীর
ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা তুরাগ
নদের ওপর সাতটি ভাসমান পন্টুন সেতু
নির্মাণ করেছেন।
মুসল্লিদের ওজু, গোসল ও খাবারের জন্য
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও টঙ্গী
পৌরসভার উদ্যোগে প্রতি ঘণ্টায় প্রায়
তিন কোটি ৫৫ লাখ গ্যালন সুপেয় পানি
সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
টঙ্গী ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের
মেডিক্যাল অফিসার ডা. পারভেজ
জানান, মুসল্লিদের চিকিৎসাসেবা
প্রদানে প্রথম পর্বে ব্যাপক প্রস্তুতি
হাতে নেওয়া হয়েছে। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট
সরকারি হাসপাতালটিকে ইজতেমার
জন্য অস্থায়ীভাবে ১০০ শয্যায় উন্নীত
করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা নিয়ন্ত্রণ
কক্ষ, হৃদরোগ ইউনিট, বক্ষব্যাধি/অ্যাজমা
ইউনিট, ট্রমা (অর্থোপেডিক) ইউনিট,
বার্ন ইউনিট, স্যানিটেশন টিম এবং ১৪টি
অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া চক্ষু, মেডিসিন, সার্জারিসহ
বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
পালাক্রমে চিকিৎসাসেবা দেবেন।
মুসল্লিরা ইতিমধ্যে ময়দানে স্ব-স্ব
খিত্তায় এসে অবস্থান নিচ্ছেন। দেশের
৬৪টি জেলার মধ্যে ৩২টির মুসল্লিরা এ
বছর দুই দফায় ইজতেমায় অংশ নেবেন।
প্রথম পর্বে ১৬ জেলা এবং দ্বিতীয় পর্বে
বাকি ১৬ জেলার মুসল্লিরা ইজতেমায়
অংশগ্রহণ করবেন।

টেস্টে অন্য বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক:
সাম্প্রতিককালে একদিনের ক্রিকেটে
বাংলাদেশের সাফল্য ছিলো ইর্ষনীয়।
বিপরীতে টেস্টে তেমন উল্লেখযোগ্য
সাফল্য নেই। এঅবস্থায় ওয়ানডেতে
টাইগাররা সকল প্রতিপক্ষের সমীহ আদায়
করে নিলেও টেস্ট পারফরম্যান্সের জন্য
প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়তে হতো।
অথচ এবারের নিউজিল্যান্ড সফরে দেখা
গেলো ভিন্ন চিত্র। ওয়ানডেতে
স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই
পারলো না বাংলাদেশ। টি২০তেও একই
চিত্র। অথচ টেস্টের শুরুতেই দেখা
মিললো বদলে যাওয়া বাংলাদেশের।
আসল টাইগারদের।
ওয়েলিংটনকে রেকর্ড বন্যায় ভাসালো
বাংলাদেশে। সাকিব আল হাসানের
ডাবল সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের দেড়শ
ছাড়ানো ইনিংসের সুবাদে টেস্টের
দ্বিতীয় দিনেই চালকের আসনে
টাইগাররা। দিনশেষে প্রথম ইনিংসে
বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৫৪২
রান। তবে তিন ওভার বাকি থাকতে
দিনের খেলা শেষ হওয়ার শেষ বলে আউট
হয়ে যান মিরাজ।
এদিন তৃতীয় বাংলাদেশী হিসেবে
টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেন সাকিব।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটি
সাকিবের টানা দ্বিতীয় শতক। ২০১০
সালে হ্যামিল্টনে সেঞ্চুরি করেন এই
অলরাউন্ডার। ২৭৬ বল মোকাবেলা করে
৩১ চারের সাহায্যে ২১৭ রান করেন
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এর আগে ২০১১
সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪৪ রানই
এত দিন সাকিবের সর্বোচ্চ রানের
রেকর্ড ছিল।
প্রথম দিনের ৫ রান নিয়ে খেলতে নামা
সাকিব আজ যোগ করেন আরো ১৯৫ রান।
১২৫তম ওভারে কলিন গ্র্যান্ডহোমের বলে
পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে ডাবল সেঞ্চুরি
পূর্ণ করেন সাকিব।
তৃতীয় বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান
হিসেবে টেস্টে দারুণ এই রেকর্ড গড়লেন
সাকিব। এর আগে শ্রীলঙ্কার গলে প্রথম
বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে
টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর
রহিম। ২০০ রান করেন বাংলাদেশ
অধিনায়ক। এর পর ২০১৫ সালে
পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০৬ রান করেন
তামিম ইকবাল।
ডাবল সেঞ্চুরির দিন তৃতীয় বাংলাদেশী
ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে তিন হাজার
রানের মাইলফলকও ছুঁলেন বিশ্বসেরা এই
অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে তিন হাজার
রান ও বল হাতে ১৫০ উইকেট নেওয়া ১৪তম
অলরাউন্ডার তিনি।
এদিন তামিম-ইমরুলের ৩শ’ ১২ রানের
রেকর্ড ভেঙে ৩৫৯ রানের সেরা
পার্টনারশিপের রেকর্ড গড়েন সাকিব-
মুশফিক জুটি। আর পঞ্চম জুটিতে বিশ্বে
চতুর্থ সেরা জুটি এটি। তবে ব্যক্তিগত ১শ
৫৯ রানে আউট হন অধিনায়ক মুশফিকুর
রহিম।
নিউজিল্যান্ডের মাঠে এটি সফরকারী
দলগুলোর যেকোনো উইকেট জুটিতে নতুন
রেকর্ড। তারা ভাঙেন ৪৪ বছর পুরোনো
জুটির রেকর্ড। ১৯৭৩ সালে ডানেডিন
টেস্টে চতুর্থ উইকেটে ৩৫০ রান যোগ
করেছিলেন পাকিস্তানের আসিফ ইকবাল
ও মুশতাক মোহাম্মদ। সেটিই ছিল
নিউজিল্যান্ডে বিদেশী দলগুলোর
সর্বোচ্চ জুটি। সাকিব-মুশফিকের এই
জুটির ওপরে যেকোনো দল মিলিয়েই
আছে মাত্র দুটি জুটি।
১৯৯১ সালে এই ওয়েলিংটনে তৃতীয়
উইকেটে ৪৬৭ যোগ করেছিল ক্রো-
জোন্সের জুটি। সেটি এখনো
নিউজিল্যান্ডে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড
হয়ে আছে।
সব দেশ মিলিয়ে প্রতিপক্ষে মাটিতে
পঞ্চম উইকেটে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ
জুটির রেকর্ড। ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ
আফ্রিকা সফরে জোহানেসবার্গ টেস্টে
স্টিভ ওয়াহ আর গ্রেগ বিলওয়েট পঞ্চম
উইকেটে ৩৮৫ রান এনে দিয়েছিলেন
অস্ট্রেলিয়াকে। এরপর প্রতিপক্ষের
মাঠে সাকিব-মুশির জুটিটাই পঞ্চম
উইকেটের রেকর্ড।
যেকোনো উইকেটে প্রতিপক্ষের মাঠে
সবচেয়ে বেশি রান তোলায় টেস্ট
ইতিহাসে সাকিব-মুশির এই জুটি থাকল ১৪
নম্বরে। যে তালিকায় সবার ওপরে আছে
১৯৩৪ সালে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে
বর্যান্ডম্যান-পন্সফোর্ডের ৪৫১ রানের
জুটিটি।
৫৪২ রান এখনো পর্যন্ত বিদেশে মাটিতে
বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয়
স্কোর। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে
গলে ৬৩৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। আর
সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের
তালিকায় এটি আছে এখন চার নম্বরে।
৬৩৮ ছাড়া ঢকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের
বিপক্ষে ৫৫৬ ও খুলনায় পাকিস্তানের
বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৫৫৫ রান করেছিল
টাইগাররা।
প্রথমদিন শেষে বাংলাদেশের ঝুলিতে
জমা পড়েছিল ১৫৪ রান, তিন উইকেট
হারিয়ে।
প্রথমদিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও
সতর্কভাবে শুরু করেছিলেন মুমিনুল ও
সাকিব আল হাসান। তারা ভালো
ভাবে এগিয়েও নিচ্ছিলেন দলকে। কিন্তু
৪৪তম ওভারের তৃতীয় বলে মুমিনুল আউট
হয়ে গেলেন টিম সাউদির দুর্দান্ত এক
বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।
মুমিনুল ৬৪ রান করে সাজঘরে ফিরে
গেলে দিনের শুরুতেই বাংলাদেশের
ইনিংসে একটি ধাক্কা লাগে। অধিনায়ক
মুশফিকুর রহিম ও সাকিবের ওপর দায়িত্ব
পড়ে সে ধাক্কা সামলানোর। শুরুর এই
ধাক্কা সামলে ভালোভাবেই এগিয়ে
যায় বাংলাদেশ।
এর আগে প্রথম দিনে তামিম অর্ধশতক
করেন। তিনি খেলেন ৫০ বলে ৫৬ রানের
দারুণ একটি ইনিংস। অবশ্য খুব একটা
সুবিধা করতে পারেননি ইমরুল (১) ও
মাহমুদউল্লাহ (২৬)।

এখন থেকে রাস্তা বন্ধ করে কোথাও সমাবেশ করা যাবে না -ওবায়দুল কাদের

ফেঞ্চুগঞ্জ পতিদিন
নিউজ ডেস্ক:
এখন থেকে রাস্তা বন্ধ করে
কোথাও সমাবেশ করা হবে না বলে
জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল
কাদের। কর্মদিবসে রাজনৈতিক
কর্মসূচি না দিতে ঢাকা দক্ষিণ
সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ
খোকনের আহ্বানও বিবেচনায়
আছে তার। জানান, কেবল ছুটির
দিন মিছিল করার বিষয়টি নিয়ে
চিন্তাভাবনা করছেন তারা।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর
রাসেল স্কয়ারে আওয়ামী লীগের
পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের
সময় এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের তিন
বছর পূর্তি উপলক্ষে এই আয়োজন
করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী
লীগ।
নিত্য যানজটের শহর রাজধানীতে
বড় দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি
থাকলে ভোগান্তি চরমে উঠে।
মিছিল বা সমাবেশ হলে সড়ক বন্ধ
থাকলে যানজট কোনো একটি
এলাকার বদলে ছড়িয়ে যায় পুরো
শহরজুড়ে।
চলতি মাসেই ৪ জানুয়ারি
ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা, পরদিন
রাজধানীর রাসেল স্কয়ার এবং
বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এবং ১০ জানুয়ারি
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী
লীগের সমাবেশের দিন চরম
ভোগান্তিতে পড়ে শহরবাসী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ
নিয়ে সরকারি দলের তীব্র
সমালোচনাও হয়।
গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর
পান্থকুঞ্জে পাবলিক টয়লেট
উদ্বোধনের সময় ঢাকা দক্ষিণ
সিটি করপোরেশনের মেয়র বড়
রাজনৈতিক দলগুলোকে ছুটির দিন
কর্মসূচি দেয়ার আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যানজটের
কথা মাথায় রেখে সরকার বেশ
কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি
বলেন, ‘মাঝখানে একটু সমস্যা
হয়েছে, যে কারণে প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু কন্যা সুস্পষ্ট নির্দেশনা
যে রাস্তায় কোনো প্রোগ্রাম করা
যাবে না। এ ব্যাপারে আমি
সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমি
সারা বাংলাদেশের সকলকে
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা,
দেশনেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ
থেকে এই নির্দেশনা দিচ্ছি যে,
রাস্তা বন্ধ করে কোনো সভা,
সমাবেশ বা কোনো কর্মসূচি
বাংলাদেশের কোথাও করা যাবে
না।’
ওবায়দুল কাদের যখন এই কথা
বলছিলেন, তখন তার শীতবস্ত্র
বিতরণকে ঘিরে জটলা মূল সড়কের
কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এ বিষয়টি
নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগ
নেতা। বলেন, ‘আমি তাদেরকে
বলেছিলাম এই বস্ত্র বিতরণ আরও
ভিতরে করতে। এটা নেত্রীর
নির্দেশ। কিন্তু তারা এমনভাবে
করেছে, যে এটা রাস্তার
কাছাকাছি চলে এসেছে। তারপরও
আমি পুলিশের লোকজনকে বলবো,
অনুষ্ঠানের যখন ব্যবস্থা হয়ে গেছে
আপনারা এমন ব্যবস্তা করুন যেন
কোনোভাবে রাস্তা বন্ধ না হয়।
রাস্তায় গাড়ি চলাচল অব্যাহত
থাকবে এবং শীতবস্ত্র বিতরণ
অব্যাহত থাকবে।’
কর্মদিবসে সমাবেশ না করতে
মেয়র খোকনের অনুরোধ সরকারের
বিবেচনায় আছে বলেও জানান
ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘আমরা
চিন্তা ভাবনা করছি ছুটির দিনে
এই র্যালি করা যায় কি না।’
সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের তৃতীয়
বর্ষপূর্তিতে জাতির উদ্দেশ্যে
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে দেশবাসীর
পাশাপাশি বিএনপির সাধারণ
সমর্থকরাও খুশি হয়েছেন বলে মনে
করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি
বলেন, ‘শুধুমাত্র বিএনপির নেতারা,
যারা কর্মসুচি দিয়ে ঘরে বসে
হিন্দি সিরিয়াল দেখেন, সেই
নেতারা হতাশ।’ তিনি বলেন,
‘সংকটে আছে বিএনপি, দেশ
সংকটে নেই।’
রাজনৈতিক বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত
সংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই
হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের
বলেন, ‘সমঝোতা সব কিছুই হবে
সংবিধান অনুযায়ী। আমরা
সংবিধানের বাইরে যাবো না।
পরবর্তী নির্বাচন আমরা
সংবিধানের বাইরে যাবো না। উই
ক্যান নট গো বিলং
কনশটিটিউশন।’