বুধবার, মার্চ ০১, ২০১৭

ফেঞ্চুগঞ্জে পাল্টা সাংবাদ সম্মেলন করলেন নুরুল হুদা কুটি:তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার

ফেঞ্চুগঞ্জ: সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ
উপজেলার কায়স্থগ্রামের বাসিন্দা নূরুল হুদা কুটি
তার বিরুদ্ধে আনীত প্রতিপক্ষের বিভিন্ন
অভিযোগ অস্বীকার করে ফেঞ্চুগঞ্জ
প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
১ মার্চ বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত
বক্তব্যে তিনি বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ
উপজেলার কায়স্থ গ্রামের শফিকুর রহমানের
পুত্র শাহীন আহমদ সাংবাদিক সম্মেলনের
মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা
হয়েছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও
ষড়যন্ত্রমূলক। কোটি বাহিনী বলে যে
বাহিনীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা
সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন। কোটি বাহিনী
বলে আমার কোন বাহিনী নেই। আমি
কোন বাহিনীর প্রধানও নয়। আমার ও আমার
পরিবারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন ও সমাজে আমাকে
হেয় প্রতিপন্ন করতে এটা তাদের অপচেষ্টা
মাত্র।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, আমার
বিরুদ্ধে মিথ্য অভিযোগকারী শফিকুর
রহমানের পুত্র শাহীন গংরা এলাকার জুলুমবাজ,
ভূমিদখলকারী, সমাজ বিরোধী চিহিৃত মাদক
ব্যবসায়ী। তাদের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে
প্রতিবাদ করায় আমিসহ এলাকার গন্যমান্য
ব্যক্তিবর্গের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার
উদ্দেশে নানা কুৎসা রটিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায়
দীর্ঘদিন ধরে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।
তাদের এই অন্যায় অপকর্মের বিরুদ্ধে আমি
আইনের আশ্রয় নিয়ে তারা আরো
বেপোরোয়া হয়ে উঠে মাদক ব্যবসায়ী
পরিবারটি।
আমার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে-
শাহীনের ভাই জয়নুলকে আমি সাজানো
মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছি। অভিযোগটি
সম্পূর্ণ অসত্য। প্রকৃত ঘটনা হলো-
জয়নুলকে পুলিশ গাঁজা, ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার
করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
মামলার বাদী কিংবা মামলার সাথে আমি কোন
ভাবেই সংশ্লিষ্ট নয়। পুলিশ মাদক আইনে মামলা
করে জয়নুলকে কারাগারে প্রেরণ
করেছে। মামলার বাদী হলেন-
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার এস.আই অমৃত কুমার।
আমার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী শাহীন গংরা
আমাদের পরিবারের মালিকানাধীন-৩৭৭৮,
৩৭৮৫, ৩৪৯৭, ৩৫০১, ৩৭৮১, ৩৭৬৪ দাগের
ভূমির সীমানা পিলার সরিয়ে দাগগুলোর কিছু
জায়গা জবর দখল করে রেখেছে। এ সব
অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদী
হয়ে উঠলে শাহীন গংরা বিভিন্ন মাধ্যমে
আমার প্রাণনাশ ও আমার সন্তানকে গুম করার
হুমকী দিয়ে আসছে। ফেইসবুকে আমার
বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর কারণে আমি নিজে
বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
আমি আল্লামা ছাহেব কিবলাহ আব্দুল লতিফ
ফুলতলী (রঃ) হাতে গড়া সংগঠন, আঞ্জুমানে
আল ইসলাহের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা শাখার
সভাপতির দায়িত্বে রয়েছি। এছাড়া আমার এলাকায়
দ্বীনে ইসলাম প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে
আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে হাজী
আকমল আলী মোহাম্মদী ইসলামী
মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছি। ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রী
কলেজ, ফেঞ্চুগঞ্জ ফাযিল মাদ্রাসা,মাইজগাঁও
কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ,কায়স্থ গ্রাম সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এলাকার রাস্তাঘাটের
উন্নয়নে ভূমি দান করে আমাদের পরিবার
সমাজের মঙ্গঁল ও কল্যাণে সহযোগিতা
অব্যাহত রেখেছে। একটি দ্বীনি পরিবারের
বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোয় আমি মানসিকভাবে
ভেঙে পড়েছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে
পুলিশ,র্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর দৃষ্টি
আকর্ষণ করে বলতে চাই-সমাজবিরোধী
মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জরুরী
ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা
গ্রহন করে এলাকার শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য
আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ
কামনা করেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন, আর রহমান জামে
মসজিদের সভাপতি তাহিদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা
মানিক মিয়া,আলী হোসেন মিনার, হাজী ডলু
মিয়া, মাওলানা মারুফ আহমদ, তারুক আহমদ শাহ
শরীফ আহমদ, জাবেদুল ইসলাম ও মাওলানা
রেদুয়ানুল করিম চৌধূরী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন