চা শ্রমিকদের ভূমি অধিকার ও দৈনিক মজুরী ৩০০
টাকা নির্ধারণসহ ৭ দফা দাবিতে সিলেটের জেলা
প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর
স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক
ফেডারেশন
সিলেট জেলা।
রোববার (৮ জানুয়ারি) লাক্কাতুরা রেষ্টক্যাম্প বাজার
থেকে শতাধিক চা শ্রমিকদের অংশগ্রহনে
বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ফেস্টুন ও লাল পতাকাসহ মিছিল
সহকারে গিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক
জয়নাল আবেদীনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান
করা হয়।
এর আগে ৩ মাসব্যাপী সিলেট সুরমা ভ্যালীর
২০টি বাগানে শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় ও
স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়।
মিছিল শেষে ও স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হৃদেশ
মুদির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য
রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী
ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক
এবং বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের
কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমরেড উজ্জল রায়,
বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার সদস্য হুমায়ূন
রশীদ সোয়েব এ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ
শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সিলেট
জেলার সভাপতি সুশান্ত সিনহা, সাধারণ সম্পাদক
মোখলেসুর রহমান, বাংলাদেশ চা শ্রমিক
ফেডারেশনের মালনীছড়া বাগানের আহ্বায়ক
সন্তোষ বাড়াইক, সাধারণ সম্পাদক অজিত রায়,
লাক্কাতুরা বাগানের আহ্বায়ক লাংকাট লোহার, সদস্য
আমিনা বেগম, হিলুয়াছড়া বাগানের সদস্য মনা গুন্জু,
লালাখাল চা বাগানের সভাপতি এবং ইউ.পি সদস্য
রাজেন্দ্র বাড়াইক (মলিন), তারাপুর বাগানের সদস্য
আলম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সীমাহীন দারিদ্র ও
পুষ্টিহীনতায় নিপীড়িত বাংলাদেশের চা
শ্রমিকরা। বাংলাদেশের প্রধান অর্থকারী ফসল
এই চা। অথচ চা শ্রমিকদের জীবনের
সামান্যতম পরিবর্তন আজও পর্যন্ত হয় নি। শিক্ষা
ও চিকিৎসাসহ সকল মৌল মানবিক অধিকার থেকে
বঞ্চিত চা শ্রমিকরা। এই দূর্মূল্যের বাজারে মাত্র
৮৫ টাকা মজুরি দিয়ে জীবনের সকল চাহিদা
কিভাবে পূরণ করা সম্ভব না। অথচ চা শ্রমিকদের
হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমের ফলে প্রতি বছর চায়ের
উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
এদিকে শিক্ষা ও চিকিৎসার অবস্থাও খুবই করুণ। এ
রকম অমানবিক পরিস্থিতিকে আরও গভীরতর
করে তোলে ভূমির প্রশ্ন। চার পুরুষের ভিটায়
চা শ্রমিকদের কোন আইনি অধিকার নেই।
ফলে কখনও স্টেডিয়ামের নামে, কখনও
ইপিজেড কিংবা গ্যাস কূপের নামে চলছে চা
শ্রমিকদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ। শুধু তাই নয়,
জমির মালিকানা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে চাকুরির
ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি হয়।
আবার চা শ্রমিকদের সর্বস্ব কেড়ে নিতে
ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে আরেক সর্বনাশা
প্রকল্প, যার নাম ‘টি ট্যুরিজম”। চা বাগানের
আশপাশে গড়ে উঠা বিভিন্ন রিসোর্ট তারই
সাক্ষ্য বহন করে। বর্তমান বাংলাদেশে চা
বাগানের জন্যে বরাদ্দকৃত ১,১৬,১৭২ হেক্টর
জমির মধ্যে ৬৫,২১৭ হেক্টর জমিতে চা চাষ হয়
আর বাকি জমি চা বাগানের আনুষাঙ্গিক ক্ষেত্র
হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই সম্পূর্ণ জমিটাই
সরকারি। এক্ষেত্রে চা বাগানের জন্যে
বরাদ্দকৃত জমির যে অংশ সরাসরি চা চাষে লাগে না,
তা চা শ্রমিকদের বরাদ্দ করা যেতে পারে।
প্রায় চার পুরুষ ধরে চা শ্রমিকরা এ সকল জায়গায়
বসবাস করছেন। চা বাগানের মালিকানা সরকারি ও
বেসরকারি দুইই আছে। সরকারের সদিচ্ছা
থাকলে খুব সহজে চা শ্রমিকদের ভূমিহীন
বিবেচনা করে বাগানের জমি বরাদ্দ করতে
পারেন। সম্প্রতি ভূমি অধিকারের দাবিতে
হবিগঞ্জের চাঁনপুর ও বেগমখানের চা
শ্রমিকদের আন্দোলন বিষয়টির যৌক্তিকতা সবার
সামনে তুলে ধরেছে।
টাকা নির্ধারণসহ ৭ দফা দাবিতে সিলেটের জেলা
প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর
স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক
ফেডারেশন
সিলেট জেলা।
রোববার (৮ জানুয়ারি) লাক্কাতুরা রেষ্টক্যাম্প বাজার
থেকে শতাধিক চা শ্রমিকদের অংশগ্রহনে
বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ফেস্টুন ও লাল পতাকাসহ মিছিল
সহকারে গিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক
জয়নাল আবেদীনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান
করা হয়।
এর আগে ৩ মাসব্যাপী সিলেট সুরমা ভ্যালীর
২০টি বাগানে শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় ও
স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়।
মিছিল শেষে ও স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হৃদেশ
মুদির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য
রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী
ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক
এবং বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের
কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমরেড উজ্জল রায়,
বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার সদস্য হুমায়ূন
রশীদ সোয়েব এ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ
শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সিলেট
জেলার সভাপতি সুশান্ত সিনহা, সাধারণ সম্পাদক
মোখলেসুর রহমান, বাংলাদেশ চা শ্রমিক
ফেডারেশনের মালনীছড়া বাগানের আহ্বায়ক
সন্তোষ বাড়াইক, সাধারণ সম্পাদক অজিত রায়,
লাক্কাতুরা বাগানের আহ্বায়ক লাংকাট লোহার, সদস্য
আমিনা বেগম, হিলুয়াছড়া বাগানের সদস্য মনা গুন্জু,
লালাখাল চা বাগানের সভাপতি এবং ইউ.পি সদস্য
রাজেন্দ্র বাড়াইক (মলিন), তারাপুর বাগানের সদস্য
আলম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সীমাহীন দারিদ্র ও
পুষ্টিহীনতায় নিপীড়িত বাংলাদেশের চা
শ্রমিকরা। বাংলাদেশের প্রধান অর্থকারী ফসল
এই চা। অথচ চা শ্রমিকদের জীবনের
সামান্যতম পরিবর্তন আজও পর্যন্ত হয় নি। শিক্ষা
ও চিকিৎসাসহ সকল মৌল মানবিক অধিকার থেকে
বঞ্চিত চা শ্রমিকরা। এই দূর্মূল্যের বাজারে মাত্র
৮৫ টাকা মজুরি দিয়ে জীবনের সকল চাহিদা
কিভাবে পূরণ করা সম্ভব না। অথচ চা শ্রমিকদের
হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমের ফলে প্রতি বছর চায়ের
উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
এদিকে শিক্ষা ও চিকিৎসার অবস্থাও খুবই করুণ। এ
রকম অমানবিক পরিস্থিতিকে আরও গভীরতর
করে তোলে ভূমির প্রশ্ন। চার পুরুষের ভিটায়
চা শ্রমিকদের কোন আইনি অধিকার নেই।
ফলে কখনও স্টেডিয়ামের নামে, কখনও
ইপিজেড কিংবা গ্যাস কূপের নামে চলছে চা
শ্রমিকদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ। শুধু তাই নয়,
জমির মালিকানা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে চাকুরির
ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি হয়।
আবার চা শ্রমিকদের সর্বস্ব কেড়ে নিতে
ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে আরেক সর্বনাশা
প্রকল্প, যার নাম ‘টি ট্যুরিজম”। চা বাগানের
আশপাশে গড়ে উঠা বিভিন্ন রিসোর্ট তারই
সাক্ষ্য বহন করে। বর্তমান বাংলাদেশে চা
বাগানের জন্যে বরাদ্দকৃত ১,১৬,১৭২ হেক্টর
জমির মধ্যে ৬৫,২১৭ হেক্টর জমিতে চা চাষ হয়
আর বাকি জমি চা বাগানের আনুষাঙ্গিক ক্ষেত্র
হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই সম্পূর্ণ জমিটাই
সরকারি। এক্ষেত্রে চা বাগানের জন্যে
বরাদ্দকৃত জমির যে অংশ সরাসরি চা চাষে লাগে না,
তা চা শ্রমিকদের বরাদ্দ করা যেতে পারে।
প্রায় চার পুরুষ ধরে চা শ্রমিকরা এ সকল জায়গায়
বসবাস করছেন। চা বাগানের মালিকানা সরকারি ও
বেসরকারি দুইই আছে। সরকারের সদিচ্ছা
থাকলে খুব সহজে চা শ্রমিকদের ভূমিহীন
বিবেচনা করে বাগানের জমি বরাদ্দ করতে
পারেন। সম্প্রতি ভূমি অধিকারের দাবিতে
হবিগঞ্জের চাঁনপুর ও বেগমখানের চা
শ্রমিকদের আন্দোলন বিষয়টির যৌক্তিকতা সবার
সামনে তুলে ধরেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন