রবিবার, জানুয়ারী ২৯, ২০১৭

ইতালিতে সিজনাল ভিসা, এবারও কালো তালিকায় বাংলাদেশ

 চলতি বছরও কৃষি,
হোটেল ও পর্যটন খাতে মৌসুমি
কাজের জন্য সিজনাল ভিসায়
বাংলাদেশিদের ইতালি যাওয়া
হচ্ছে না। গত চার বছরের
ধারাবাহিকতায় পঞ্চমবারের মতো
বাংলাদেশকে কালো তালিকায়
ফেলেছে ইতালি সরকার। চলতি
বছর এই ভিসায় মোট ১৭ হাজার
শ্রমিক নেবে ইতালি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই
ভিসায় ইতালি গিয়ে বেশ কিছু
বাংলাদেশি নিয়মের ব্যতিক্রম
করায় বাংলাদেশকে বাদ দিয়েছে
দেশটির সরকার। মূলত সিজনাল
ভিসার নামে ইউরোপে পাড়ি
জমাতো বাংলাদেশি অনেকেই।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর
থেকেই ইতালি সরকার বন্ধ করে
দিয়েছে বাংলাদেশি কোটা।
রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস এই
সমস্যা সমাধানে একাধিক বার
কূটনৈতিক আলোচনা সত্বেও গত
কয়েক বছরে এর কোন সমাধান
হয়নি। ফলে প্রতি বছর ইতালিতে
সিজনাল ভিসায় কাজের সুযোগ
থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কয়েক হাজার
বাংলাদেশি।
২০১৭ সালের সিজনাল ভিসায়
আগতদের জন্য নতুন আইন হচ্ছে
ইতালিতে। নতুন আইনে যে সব
শ্রমিক ২০১৬ সালে ইতালিতে
প্রবেশ করে নিজ দেশে ফেরত
যায়নি তারা আর আগের মালিকের
অধীনে কাজ করতে পারবে না এবং
গত বছর ছয় মাসের চুক্তি শেষে
যারা নিজ দেশে কেন ফেরত
আসেনি তার ব্যাখ্যা দিতে হবে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও শ্রম
মন্ত্রণালয়কে ।
ইতালিতে অর্থনৈতিক মন্দা
চলাকালে সরকার কেন বাইরে
থেকে শ্রমিক আনার ঘোষণা
দিয়েছে তা নিয়েও চলছে জোর
সমালোচনা।
সিজনাল ভিসায় একজন শ্রমিক
কৃষি, হোটল ও পর্যটন খাতে ছয় মাস
ইতালিতে বৈধভাবে কাজ করতে
পারেন। এরপর আইন ওই শ্রমিককে
নিজ দেশে চলে আসতে হতো। এই
নিয়ম পালন করে কোন শ্রমিক
আসা যাওয়ার মধ্যে থাকলে
তিনবার পর পূর্ণাঙ্গ বৈধ হওয়ার
সুযোগ পায়।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে সিজনাল
ভিসার গেজেট প্রকাশ হওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে। গেজেট প্রকাশ
হলে আবেদন জমার সময় বিস্তারিত
নিয়ম জানা যাবে। যে সব দেশের
নাগরিকদের সিজনাল ভিসায়
ইতালিতে কাজের সুযোগ আছে এর
মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
আলবেনিয়া, আলজেরিয়া,
বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, দক্ষিণ
কোরিয়া, আইভরি কোস্ট, মিশর,
ইথিওপিয়া, মেসিডোনিয়া,
সাবেক যুগোস্লাভ প্রজাতন্ত্র,
ফিলিপাইন, গাম্বিয়া, ঘানা,
জাপান, ভারত, কসোভো, মরক্কো,
মরিশাস, মালদোভিয়া,
মন্টিনিগ্রো, নাইজার,
নাইজেরিয়া, পাকিস্তান,
সেনেগাল, সার্বিয়া, শ্রীলঙ্কা,
সুদান, ইউক্রেন এবং তিউনেসিয়া।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন