সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদী
থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে
পুলিশ। নিহতদের পিতার পরিবারের
পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায়
গ্রেপ্তার নিহতের স্বামী ও ভাসুরের
স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে
জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে
কুশিয়ারা নদী থেকে জনি রানী দাস
(২২) নামের এই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে
ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশ। জনি রানী
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার
তালিমপুর ইউনিয়নের গগড়া গ্রামের
সজল কান্তি দাসের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জ পুলিশ
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য
সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
জনির লাশ উদ্ধারের খবরে তাঁর বাবার
বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে যায়। মা
শেলি রাণী দাসসহ পরিবারের
সদস্যদের মাতমে এলাকার আকাশ
বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়
সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (২৮
জানুয়ারি) শ্বশুর বাড়ি সিলেটের
গোলাপগঞ্জ উপজেলার আলমপুর থেকে
রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন গৃহবধূ জনি
রানী দাস। হঠাৎ করে গৃহবধূর
নিখোঁজের বিষয়টি তাঁর স্বামী ও
শ্বশুর বাড়ির লোকজন অন্যের সাথে
পালিয়েছে বলে এলাকায় প্রচার করতে
থাকে। কিন্তু মেয়ের শ্বশুর বাড়ির
লোকজনের কথায় নিহতের পিতার
সন্দেহ হয়।
নিখোঁজের তিনদিনের মাথায়ও সন্ধান
না পাওয়ায় (৩০ জানুয়ারি) সোমবার
জনির বাবা সজল কান্তি দাস
গোলাপগঞ্জ থানায় নিহতের স্বামী
রঙ্গেস দে ও রঙ্গেসের বড় ভাইয়ের
স্ত্রী শিল্পী রানী দেবকে আসামী
করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা নং-১৯। থানায় দায়ের করা
মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ গৃহবধূ জনির
স্বামী রঙ্গেস দে ও তার বড় ভাইয়ের
স্ত্রী শিল্পী রানী দেবকে গ্রেপ্তার
করে।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশি
জিজ্ঞাসাবাদে শিল্পী রানী দেব ও
নিহতের স্বামী রঙ্গেস জনি রানীকে
হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার
করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার
ঘটনা সংক্রান্তে পুলিশকে বিভিন্ন
তথ্য প্রদান করে। গ্রেপ্তারের পরদিন
আদালতে নিহতের ভাসুরের স্ত্রী
শিল্পী রানী দেব জনিকে হত্যার কথা
স্বীকার করে কার্যবিধির ১৬৪ ধারায়
জবানবন্দি প্রদান করে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি)
সকালে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায়
কুশিয়ারা নদীতে অজ্ঞাত এক নারীর
লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন
পুলিশে খবর দেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে
খবর পেয়ে কুশিয়ারা নদী থেকে
ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই সবুজ
কুমার নাইডু অজ্ঞাত এই নারীর লাশ
উদ্ধার করেন। এরই মধ্যে অজ্ঞাত
নারীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে
ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় হাজির হন নিহত
জনি রানী দাসের বাবা সজল কান্তি
দাস। থানায় তিনি লাশটিকে তার
মেয়ে জনি রানীর বলে সনাক্ত করেন।
নিহতের পিতা সজল কান্ত দাস বলেন,
গোলাপগঞ্জে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির
লোকজন তার মেয়ে জনি রাণী দাসকে
হত্যা করে অজ্ঞাত স্থানে লাশ ফেলে
দেয়। তারা আমার মেয়েকে হত্যার পর
লাশ গুম করে মিথ্যা নিখোঁজের নাটক
সাজায়। আমার সন্দেহ হওয়ায় আমি
আমার মেয়ের জামাই ও মেয়ের
ভাসুরের স্ত্রী শিল্পি রানীকে
আসামি করে গোলাপগঞ্জ থানায়
মামলা করি। আমি আমার মেয়ের
হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
চাই।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই সবুজ
কুমার নাইডু জানান, ‘ বৃহস্পতিবার
সকালে স্থানীয়রা কুশিয়ারা নদীতে
অজ্ঞাত এক নারীর মৃতদেহ ভাসতে
দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে
আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের
সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করি। লাশ
থানায় নিয়ে আসার পর নিহতের পিতা
লাশ তাঁর মেয়ে জনি রানী দাসের
বলে সনাক্ত করেন। পরে লাশ
ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ
করা হয়।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ
পরিদর্শক (তদন্ত) মীর মোহাম্মদ আব্দুন
নাসের বলেন, ‘নিহত জনি রানীর লাশ
উদ্ধারের খবর পেয়েছি। গত সোমবার
নিহতের পিতা থানায় মেয়ের স্বামী
ও স্বামীর বড় ভাইয়ের স্ত্রীর নামে
মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে
পুলিশ নিহতের স্বামী ও স্বামীর বড়
ভাইয়ের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে
তাঁরা জনিকে হত্যার কথা পুলিশের
কাছে স্বীকার করে। পরদিন আদালতে
নিহতের ভাসুরের স্ত্রী শিল্পি রানী
দাস জনিকে হত্যার কথা স্বীকার করে
কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি
প্রদান করে।
থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে
পুলিশ। নিহতদের পিতার পরিবারের
পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায়
গ্রেপ্তার নিহতের স্বামী ও ভাসুরের
স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে
জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে
কুশিয়ারা নদী থেকে জনি রানী দাস
(২২) নামের এই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে
ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশ। জনি রানী
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার
তালিমপুর ইউনিয়নের গগড়া গ্রামের
সজল কান্তি দাসের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জ পুলিশ
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য
সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
জনির লাশ উদ্ধারের খবরে তাঁর বাবার
বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে যায়। মা
শেলি রাণী দাসসহ পরিবারের
সদস্যদের মাতমে এলাকার আকাশ
বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়
সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (২৮
জানুয়ারি) শ্বশুর বাড়ি সিলেটের
গোলাপগঞ্জ উপজেলার আলমপুর থেকে
রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন গৃহবধূ জনি
রানী দাস। হঠাৎ করে গৃহবধূর
নিখোঁজের বিষয়টি তাঁর স্বামী ও
শ্বশুর বাড়ির লোকজন অন্যের সাথে
পালিয়েছে বলে এলাকায় প্রচার করতে
থাকে। কিন্তু মেয়ের শ্বশুর বাড়ির
লোকজনের কথায় নিহতের পিতার
সন্দেহ হয়।
নিখোঁজের তিনদিনের মাথায়ও সন্ধান
না পাওয়ায় (৩০ জানুয়ারি) সোমবার
জনির বাবা সজল কান্তি দাস
গোলাপগঞ্জ থানায় নিহতের স্বামী
রঙ্গেস দে ও রঙ্গেসের বড় ভাইয়ের
স্ত্রী শিল্পী রানী দেবকে আসামী
করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা নং-১৯। থানায় দায়ের করা
মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ গৃহবধূ জনির
স্বামী রঙ্গেস দে ও তার বড় ভাইয়ের
স্ত্রী শিল্পী রানী দেবকে গ্রেপ্তার
করে।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশি
জিজ্ঞাসাবাদে শিল্পী রানী দেব ও
নিহতের স্বামী রঙ্গেস জনি রানীকে
হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার
করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার
ঘটনা সংক্রান্তে পুলিশকে বিভিন্ন
তথ্য প্রদান করে। গ্রেপ্তারের পরদিন
আদালতে নিহতের ভাসুরের স্ত্রী
শিল্পী রানী দেব জনিকে হত্যার কথা
স্বীকার করে কার্যবিধির ১৬৪ ধারায়
জবানবন্দি প্রদান করে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি)
সকালে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায়
কুশিয়ারা নদীতে অজ্ঞাত এক নারীর
লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন
পুলিশে খবর দেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে
খবর পেয়ে কুশিয়ারা নদী থেকে
ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই সবুজ
কুমার নাইডু অজ্ঞাত এই নারীর লাশ
উদ্ধার করেন। এরই মধ্যে অজ্ঞাত
নারীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে
ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় হাজির হন নিহত
জনি রানী দাসের বাবা সজল কান্তি
দাস। থানায় তিনি লাশটিকে তার
মেয়ে জনি রানীর বলে সনাক্ত করেন।
নিহতের পিতা সজল কান্ত দাস বলেন,
গোলাপগঞ্জে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির
লোকজন তার মেয়ে জনি রাণী দাসকে
হত্যা করে অজ্ঞাত স্থানে লাশ ফেলে
দেয়। তারা আমার মেয়েকে হত্যার পর
লাশ গুম করে মিথ্যা নিখোঁজের নাটক
সাজায়। আমার সন্দেহ হওয়ায় আমি
আমার মেয়ের জামাই ও মেয়ের
ভাসুরের স্ত্রী শিল্পি রানীকে
আসামি করে গোলাপগঞ্জ থানায়
মামলা করি। আমি আমার মেয়ের
হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
চাই।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই সবুজ
কুমার নাইডু জানান, ‘ বৃহস্পতিবার
সকালে স্থানীয়রা কুশিয়ারা নদীতে
অজ্ঞাত এক নারীর মৃতদেহ ভাসতে
দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে
আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের
সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করি। লাশ
থানায় নিয়ে আসার পর নিহতের পিতা
লাশ তাঁর মেয়ে জনি রানী দাসের
বলে সনাক্ত করেন। পরে লাশ
ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ
করা হয়।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ
পরিদর্শক (তদন্ত) মীর মোহাম্মদ আব্দুন
নাসের বলেন, ‘নিহত জনি রানীর লাশ
উদ্ধারের খবর পেয়েছি। গত সোমবার
নিহতের পিতা থানায় মেয়ের স্বামী
ও স্বামীর বড় ভাইয়ের স্ত্রীর নামে
মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে
পুলিশ নিহতের স্বামী ও স্বামীর বড়
ভাইয়ের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে
তাঁরা জনিকে হত্যার কথা পুলিশের
কাছে স্বীকার করে। পরদিন আদালতে
নিহতের ভাসুরের স্ত্রী শিল্পি রানী
দাস জনিকে হত্যার কথা স্বীকার করে
কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি
প্রদান করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন